স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল মাদক নিয়্ন্ত্রণে করা আইনে মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জটিলতা জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন । জানিয়েছেন, এই জটিলতা নিরসনে আইনটি সংশোধন হচ্ছে।
সোমবার সংসদ অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত সংসদ সদস্য পিনু খানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
গত ৪ মে থেকে শুরু হওয়া মাদকবিরোধী সাঁড়াশি অভিযানে গুলিতে ১৫০ জনেরও বেশি সন্দেহভাজন মাদক কারবারি নিহত হয়েছেন। সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, সন্দেহভাজন বা তার সহযোগীরা গুলি করলে পাল্টা গুলিতে নিহত হয়েছেন সবাই।
তবে মানবাধিকার কর্মীরা গত ১৪ বছর ধরে চলে আসা এমন বর্ণনা মেনে নিতে নারাজ। তারা একে বিচার বহির্ভূত হত্যা বলছেন। আর এভাবে বন্দুকের ব্যবহার না করে প্রচলিত আইনে মাদক কারবারিদের বিচারের দাবি জানাচ্ছেন তারা।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিদ্যমান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ১৯৯০ এ মাদক অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড রয়েছে। তবে বিদ্যমান আইনে কোন ব্যক্তির দখলে, কর্তৃত্বে বা অধিকারে মাদকদ্রব্য না পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ নেই। ফলে মাদক ব্যবসায় জড়িত মূল পরিকল্পনাকারীরা সহজেই পার পেয়ে যায়।’
আইনের এই দুর্বলতা দূর করতে সরকার উদ্যোগী হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী। বলেন, ‘মাদক ব্যবসায় পৃষ্ঠপোষকতাকারী ও মাদকের গডফাদারসহ মাদক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগের লক্ষ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। এ আইনে মাদক ব্যবসায় পৃষ্ঠপোষক ও মাদকের গডফাদারসহ মাদক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।’
মাদকবিরোধী চলমান অভিযান নিয়েও কথা বলেন মন্ত্রী। জানান, মাদকের গডফাদারদের আইনের আওতায় আনতে তালিকা ধরে অভিযান চলছে।
‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ডসহ সকল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ কাজে সহায়তা করছে।’