আজ রবিবার শুরু হবে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩২টি পদে শিক্ষক এবং ছয়টি পদে কর্মকর্তা নিয়োগ । বরাবরের মতো শিক্ষক-কর্মকর্তাসহ ৩৮টি পদের এই বিশাল নিয়োগেও আর্থিক লেনদেনে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। সরকার দলীয় স্থানীয় এক রাজনৈতিক নেতা শিক্ষক পদে নিয়োগ নিশ্চিত করতে ৩০ লাখ টাকা দাবি করেছেন। যা ক্যাম্পাসসহ ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী বাজারগুলোতেও আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে।

ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি নতুন কোনো ঘটনা নয়। আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শাস্তি দেওয়ার নজিরও রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে। ইতোপূর্বে নিয়োগ বাণিজ্যসংক্রান্ত অডিও ফাঁস এবং তদন্ত সাপেক্ষে তা প্রমাণিত হওয়ায় ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রুহুল আমিনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক সব কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

অপরদিকে চাকরি প্রত্যাশীদের দাবি দাওয়া নিয়ে নিয়োগ বোর্ড অনুষ্ঠানে সংশয়ে রয়েছে প্রশাসন। ইতোপূর্বে চাকরি প্রত্যাশী স্থানীয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের বাধার মুখে একাধিক নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ। নিয়োগ বোর্ড উপলক্ষে চাকরির দাবিতে গতকাল রাত ১১টা পর্যন্ত প্রধান ফটক অবরোধ করে রাখে তারা। এক পর্যায়ে রবিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত অবরোধ স্থগিত করে আন্দোলনকারীরা।

সূত্র মতে, আজ ৩ জুন থেকে আগামী ১১ জুন পর্যন্ত আটটি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের আটটি বোর্ড এবং আইটি সেলে ছয়টি পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা রয়েছে।

ছাত্রলীগ এবং স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, নিয়োগকে সামনে রেখে নিজের নিয়োগ নিশ্চিত করতে নিয়োগ প্রত্যাশীরা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্তা ব্যক্তিদের কাছে দৌড়ঝাঁপ চালিয়ে যাচ্ছে।

চাকরি প্রত্যাশী সেজে নিয়োগে সহযোগিতা চাইলে স্থানীয় একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান বলেন, ‘টাকা হলে নিয়োগ নিশ্চিত করা যেতে পারে। তবে টাকার অংক ২৫ থেকে ৩০ লাখ হতে হবে।’

টাকার অংক কমানো যায় কি না? এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘যেখানেই যান, ২০-৩০ লাখের কমে কাজ হবে না।’

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031