সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির দেশের বাইরে যাওয়ার গুঞ্জন সত্য প্রমাণ হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফের আওয়ামী লীগের। তিনি সৌদি আরব গেছেন। ওমরাহ করাই এর উদ্দেশ্য বলে জানানো হয়েছে।
বদি একা নন, তার সঙ্গে মেয়ে, জামাতা, ঘনিষ্ঠ বন্ধু আকতার কামাল ও মৌলানা নূরী নামে একজন তার সফরসঙ্গী হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে একটি বেসরকারি বিমানে হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে সৌদি আরবের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন আওয়ামী লীগ নেতা।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে কক্সবাজার-৪ আসন থেকে জয়ী বদির বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ইয়াবা কারবারে সম্পৃক্ততার অভিযোগ জমা পড়ে ২০১০ সালেই। পরে বিজিবির তালিকাতেও তার ও তার ঘনিষ্ঠদের নাম আসে। যদিও পরে সর্বশেষ তালিকা থেকে তার নাম বাদ পড়ার তথ্যই পাওয়া গেছে।
গত ৪ মে থেকে মাদকবিরোধী চলমান অভিযানে শতাধিক মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় বারবার বদিকে নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এবং সড়ক পরিবহন সে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে। তারা দুই জনই জানান, বদির বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলেও প্রমাণ নেই। আর প্রমাণ পেলে তাকেও ছাড়া হবে না।
বদি সব সময় এই অভিযোগকে ষড়যন্ত্র দাবি করে আসছেন। ৩১ জুন একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, তিনি ইয়াবা সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে।
অভিযানে ৬০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় বদির সৌদি আরব যাত্রার সম্ভাবনা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয় একটি জাতীয় দৈনিকে।
বদি যাওয়ার সময় জানান, রমজানের শেষ সপ্তাহ জুড়ে মক্কায় ইতেকাফ শেষে ১৭ জুন দেশে ফিরবেন তিনি।
তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে ওমরাহ করতে যাচ্ছেন না জানিয়ে বদি বলেন, সৌদি আরব যেতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতিও নিয়েছেন তিনি।