মঙ্গলবার রাতে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহসিনুল কাদিরের একান্ত প্রচেষ্টায় অবশেষে অভিযোগ দায়ের করতে সক্ষম হন বলে জানান অপহৃতের মা হালিমা খাতুন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে থানার এই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঢাকাটাইমসকে জানান, এর আগে অপহৃত ওই কিশোরের মা যখন থানায় এসেছিলেন তখন সীমানা জটিলতার কারণে কর্তব্যরত চিকিৎসক অভিযোগটি আইনগত কারণেই নেননি। কারণ মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের লোকেশনে ওই কিশোর ধউরের পঞ্চবটি এলাকা থেকে অপহরণের প্রমাণ মিলেছে। যা আমাদের সীমানার বাইরে। তবে সেই সময় তাকে পুলিশি সহায়তা দিয়ে তুরাগ থানায় পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে কেন তাকে অন্যত্র পাঠানো হয়েছে তা আমার জানা নেই। অবশেষে মানবিক দিকটি বিবেচনায় রেখেই আমরা অভিযোগটি নিয়েছি। একই সাথে হৃদয়কে অপহরণকারীদের সর্বশেষ অবস্থান ময়মনসিংহে নিশ্চিত করা গেছে। খুব শিগগির এই ঘটনার সাথে জড়িতদের আটক করা হবে বলেও জানান তিনি।
অপহৃত মো. হৃদয় (১৫) নামে ওই কিশোর বরিশাল জেলার ঝালকাঠি থানার সুকুন্দিয়া গ্রামের মৃত নান্টু মল্লিকের ছেলে। সে আশুলিয়ার কাঠগড়া তালাবাজার এলাকায় মায়ের সাথে পরিবার নিয়ে থেকে ধউর এলাকায় রাজমিস্ত্রি ও যোগালীর কাজ করত।
উল্লেখ্য, গত ২৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় পঞ্চবটি এলাকা থেকে কাজ শেষে কিশোর হৃদয় আশুলিয়ার কাঠগড়া বাজারের নিজ বাড়িতে ফিরছিল, এসময় পঞ্চবটি এলাকা থেকেই তাকে অপহরণ করা হয়।