এক অপরাধ সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত দরের চেয়ে বেশি দাম রাখা। তার ওপর বিদেশি আর মহিষের মাংসকে দেশি গরুর মাংস বলে চাপিয়ে দেয়ার অভিযোগ তো পুরনো।

এবার পাওয়া গেল ছয় মাস আগের মাংস নতুন মাংসের সঙ্গে মিশিয়ে বা সরাসরি বিক্রি করার প্রমাণ। আবার অতিরিক্ত দাম নিয়েও সন্তুষ্ট নন বিক্রেতারা। ওজন বাড়াতে আবার পানিতে ভিজিয়ে রাখা হতো।

এসব অভিযোগে পুরান ঢাকার কাপ্তানবাজারে চার মাংস বিক্রেতাকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে। সাত জনকে করা জরিমানা করা হয়েছে চার লাখ টাকা।

শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের নেতৃত্বে র্যাব-১০ ও বিএসটিআই যৌথভাবে এই অভিযান চালায়। অভিযানে পাওয়া ৩০ মণেরও বেশি বাসি মাংস ধ্বংস করা হয়।

রোজা শুরুর চার দিন আগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ও মাংস ব্যবসায়ীদের যৌথ সিদ্ধান্তে দেশি গরুর মাংসের কেজি ৪৫০ টাকা ও বিদেশি গরু এবং মহিষের মাংস ৪২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

এছাড়া খাসির মাংস ৭২০ টাকা এবং ছাগি ও ভেড়ার মাংসের দাম নির্ধারণ করা হয় ৬০০ টাকা। কিন্তু মাংস বিক্রেতাদের একটি অংশ বেঁধে দেয়া দাম মানলেও একটি অংশ আবার তা মানছেন না। আবার বাজারে জবাই হওয়া ভারতীয় গরু মহিষের সংখ্যা কম না হলেও দোকানিরা সবই দেশি গরু হিসেবে চালিয়ে দিচ্ছেন।

আবার বাজারে ছাগি বা ভেড়ার মাংস বলে কিছু পাওয়া যায় না। মাংস বিক্রেতা সবগুলোতেই খাসির মাংস বলে চালিয়ে দিচ্ছেন। এই প্রতারণায় অতিরিক্ত মুনাফা করার পরও বেঁধে দেয়া সর্বোচ্চ দাম মানছেন না বহু বিক্রেতা।

কাপ্তানবাজারে যেসব বিক্রেতাকে সাজা দেয়া হয়েছে তারা গরুর মাংস ৫০০ টাকা আর খাসির মাংস ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করছিলেন। আবার সব মাংসই দেশি গরুর ও খাসির বলে চালিয়ে দিচ্ছিলেন তারা।

বেশ কয়েকজন দোকানি আবার পুরনো মাংস বিক্রি করা হচ্ছিল। অভিযান শেষে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম ঢাকাটাইমসকে জানান, যে ৩০ মণ মাংস উদ্ধার করা হয়েছে তা ছিল বাজারের ফ্রিজে রাখা ছিল, এর একটি অংশ ছয় মাস আগের। ওই মাংসগুলো বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট বা হোটেলে বিক্রি করা হতো।

এছাড়া খাসির মাংসের ওজন বাড়াতে পানিতে ভিজিয়ে রাখা হয়েছিল। বিএসটিআই ইনস্পেক্টর বিল্লাল হোসেন জানান, ওজন বাড়াতে পানিতে ভিজিয়ে রাখা মাংস এটি পেটের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে।

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031