স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক দিন ধরে স্কুলের কোমলমতি মেয়েরা তাদের অভিভাবকের কাছে প্রধান শিক্ষকের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের ব্যাপারে অভিযোগ করলে তারা এ ব্যাপারে স্কুল ম্যানেজিং কমিটিকে অবহিত করে।
স্কুলের শিক্ষিকা লাভলী জানান, গত কিছুদিন আগে আমি নিজে স্যারকে দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক অবস্থায় দেখি এবং তা সিনিয়র শিক্ষিকা নূর নাহারকে অবহিত করি।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১১টার দিকে প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল জাহের পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালান। ওই ছাত্রী ঘটনাটি ক্লাসে তার বান্ধবীকে অবহিত করলে তা স্কুলে ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে এলাকাবাসী সড়ক অবরোধ করে ওই শিক্ষককে অফিস রুমে আটকে তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলে আগুন লাগিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. মোতাহের হোসেন জানান, খবর পেয়ে আমরা স্কুলে আসি, কিন্তু কোনো কিছু বলার আগেই পুলিশ সাধারণ ও অভিভাবকদের বেদম মারধর করে প্রধান শিক্ষক মো. আবদুল জাহেরকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার হাছিনা ইয়াসমিন জানান, ঘটনাটি শুনে সহকারী শিক্ষা অফিসারকে পাঠিয়েছি।
চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এ,এম,আজিজুর রহমান জানান, ঘটনাটি শুনে অভিযুক্ত ও ভিকটিম দুজনকেই আমরা থানায় নিয়ে এসেছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।