গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ভবন নির্মাণের দীর্ঘ নয় বছর চালু করা হয়েছে কার্যক্রম গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার । গত সোমবার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনটি জনবল ও গাড়ী নিয়োজিত করা হয়। কিন্তু সুন্দরগঞ্জবাসীর স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেল। কারণ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনটি তৃতীয় শ্রেণির হওয়ায় মাত্র একটি পানিবাহী গাড়ী বরাদ্দ রয়েছে। যা শুধু মাত্র পৌর শহর এলাকায় ব্যবহার উপযোগী। পাশাপাশি পাকা সড়কের ধারে হাট বাজার এমনকি বসত বাড়িতে আগুন নিভানোর কাজ করা সম্ভব। তাছাড়া গ্রাম-গঞ্জের কোথাও ফায়ার সার্ভিসের পানিবাহী গাড়ীটি ব্যবহার করা যাবে না। স্থানীয় জাতীয় পাটির এমপি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীর সফল প্রচেষ্টায় সুন্দরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের জন্য বরাদ্দকৃত জনবল ও গাড়ী স্টেশনে নিয়োজিত করা হয়। স্টেশনটিতে বর্তমানে একটি পানিবাহী গাড়ী, একজন লিডার/ইনচার্জ, ৬ জন ফায়ারম্যান ও ২ জন ড্রাইভার নিয়োজিত রয়েছে। স্টেশন লিডার/ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা জানান- এই ফায়ার সার্ভিস স্টেশনটি তৃতীয় শ্রেণির। যার কারণে এই স্টেশন হতে উপজেলাবাসী তেমন কোন সুযোগ-সুবিধা পাবে না। যদি এটি দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নতি হয়, তা হলে এ্যাম্বুলেন্সসহ সকল প্রকার সমস্যা সমাধানের জন্য গাড়ী ও জনবল পাওয়া যাবে। তিনি আরও বলেন বর্তমানে যে পানিবাহী গাড়ীটি রয়েছে সেটি কাঁচা রাস্তায় নিয়ে যাওয়া যাবে না। ২০০৯ সালে ফায়ার সার্ভিস স্টেশনটির ভবন নির্মাণ করা হলেও জটিলতার কারণে দীর্ঘদিন ধরে স্টেশনটি চালু করা সম্ভব হয়নি। পৌর মেয়র আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান- দীর্ঘদিন পর যেহেতু কার্যক্রম চালু হয়েছে। আস্তে আস্তে সব সমস্যা সমাধান করা হবে। স্থানীয় এমপি ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী জানান- পর্যায়ক্রমে স্টেশনটি দ্বিতীয় শ্রেনিতে উন্নতি করনের ব্যবস্থা করা হবে।