এক স্কুলছাত্রীকে গণধর্ষণের এক পর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়া, ভয়ভীতিতে গর্ভপাত করানো এবং স্থানীয় পর্যায়ে মীমাংসার ঘটনায় অভিযুক্ত ও মীমাংসায় ভূমিকা পালনকারীসহ তিনজনকে আটক করেছে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীতে পুলিশ। এ ঘটনায় ১ মাস ৭ দিন পর ধর্ষিতার বাবা বাদী হয়ে আটজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।
বুধবার দুপুরে আটকদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রত্যেককে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে পুলিশ আদালতে পাঠিয়েছে।
ধনবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মজিবর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটকরা হলেন, অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম, ‘ধর্ষক’ আল আমিনের বাবা মাহতাব উদ্দিন মাতাব্বর এবং স্থানীয় মাতাব্বর কামরুজ্জামান। আটকরা ধনবাড়ী পৌর শহরের রূপশান্তি পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সহকারী পুলিশ সুপার (মধুপুর সার্কেল) কামরান হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ ঘটনার সত্যতা পেয়েছে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ওই স্কুলছাত্রীর বাবা রফিকুল ইসলামসহ দুই ধর্ষক ও সালিশী বৈঠকে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টাকারী ছয় মাতাব্বরের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন।
ওসি মজিবর রহমান বলেন, তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাথমিকভাবে সত্যতা পেয়ে এ ঘটনায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। এছাড়াও প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ড চেয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে জোর চেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, ধনবাড়ী পৌর শহরের রূপশান্তি পশ্চিমপাড়ার স্কুলছাত্রী (১৩) কে একই গ্রামের রফিকুল ইসলাম, জিয়াউল হক ও আল-আমিনসহ কয়েকজন ভয় দেখিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এতে ধর্ষিতা স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় কয়েকজন মাতাব্বর গত ১৬ এপ্রিল রাতে এলাকায় সালিশি বৈঠকের মাধ্যমে কয়েক ঘা জুতাপেটা আর লাখ টাকা জরিমানা করে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন। ওই বৈঠকে মেয়েটিকে ক্লিনিকে নিয়ে গর্ভপাত ঘটানোর সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়াও মামলা না করার জন্য পরিবারটিকে হুমকি দেয়া হয়।