ক্যারিয়ারে একটি সিঙ্গেলস শিরোপা না জিতেও যে টেনিস তারকা হওয়া যায়, আনা কুর্নিকোভাই এর বড় প্রমাণ। টেনিস জগতে সর্বকালের সেরা সুন্দরী এবং আবেদনময়ীদের নাম লিখতে বসলে রুশ তারকা আনা কুর্নিকোভার নাম আসবেই। সত্যি বলতে কি কুর্নিকোভা ছাড়া সেক্সসিম্বলদের তালিকা সম্পূর্ণ হবে না তেমনি সম্পন্ন হবে না টেনিস তারকার তালিকাও।
রুশ টেনিস সুন্দরী আনা কুর্নিকোভা এখন অবশ্য সাবেক টেনিস তারকা। কিন্তু তার আবেদন এখন লেগে রয়েছে টেনিসে।
খুব অল্প বয়সেই টেনিসকে বিদায় জানান তিনি। অ্যাগ্রেসিভ খেলতেন। আর তাই লাগাতার ইনজুরির কারণে খুব বেশিদিন কোর্টে থাকতে পারেন নি।
তবে কোর্টের বাইরের উদ্দাম জীবনযাপন, প্রেম, খোলামেলা এক্সপোজার আর পাশাপাশি নানা বিতর্কের রেশ ধরে আলোচনায় আছেন এখনো।
মোটেও দৃশ্যপটের অন্তরালে চলে যাননি কুর্নি, বরং টেনিস বলতেই এখনো কুর্নির দেহবল্লরী চোখে ভাসে ভক্তদের। এখন ৩৪। কিন্তু আসন গেড়ে আছেন ভক্তদের ‘হৃদয়ের রাণী’ হিসেবেই!
রূপ-সৌন্দর্য কিংবা যৌবনের আবেদন যাই বলা হোক না কেন, সবই বিদ্যমান ছিল এ টেনিস সুন্দরীর মধ্যে।
টেনিসের বাহিরেও তার বড় পরিচয় মডেল হিসেবে। তার রূপের ঝলকে কত যে ভক্তকুলের রাতের ঘুম হারাম করে দিয়েছিলেন, সেটা ছোট একটা তথ্য থেকেই স্পষ্ট। একটা সময়ে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে কুর্নিকোভাকেই সবচেয়ে বেশি খোঁজা হতো।
মাত্র ৫ বছর বয়সে টেনিসের র্যাকেট হাতে নিয়েছিলেন কুর্নিকোভা। ১৯৯৬ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে গ্রান্ডস্ল্যামে অভিষেক ঘটিয়ে টেনিসবিশ্বে হৈচৈ ফেলে দেন। অবশ্য কোর্টেখুব বেশি সফলতা পাননি। ক্যারিয়ারে ১৬টি ডাবলস জিতলেও মেয়েদের এককে জিততে পারেননি একটিও শিরোপা। মার্টিনা হিঙ্গিসের সঙ্গে জুটি বেধে পরপর দু’বছর ইউএস ওপেন জিতেছিলেন এই রাশান সুন্দরী। ২০০৭ সালে টেনিসকে বিদায় জানালেও গ্ল্যামার দিয়েই পুরো টেনিসবিশ্বের ওপর দুর্দান্ত প্রভাব ফেলেছিলেন রাশিয়ার এই লাস্যময়ী তারকা।
টেনিস কোর্টে খুব বেশি সাফল্য না পাওয়ার জন্য অবশ্য কখনোই আক্ষেপ করতে হয়নি কুর্নিকোভাকে। কোর্টের বাইরে গ্ল্যামারের ঝলক দিয়ে ভক্তদের মন জয় করার পাশাপাশি কোটি কোটি ডলারের চুক্তি সম্পন্ন করেছেন স্পন্সরদের সাথে। বিভিন্ন পণ্যের মুখপাত্র, ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদকন্যা, বিজ্ঞাপনের মডেল, মিউজিক ভিডিওর মডেল এসব থেকে যে আয় হতো অবিশ্বাস্য গতিতে বেড়ে চলে তার ব্যাংক ব্যালান্স। আয়ের পথ সমৃদ্ধ হলেও, ক্যারিয়ারে তার সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত র্যাংকিং ছিলো আট।
লিভ টুগেদারের প্রতিই বেশি আগ্রহী ছিলেন। ১৯৯৯ সালে প্রথম প্রেমে জড়ান এই রুশ সুন্দরী। ২০০১ সালে বিয়ে করেন স্বদেশি আইস হকি খেলোয়াড় সার্জেই ফেডরোভকে। তবে গুঞ্জন ছিল ২০০০ সালের পর থেকে আরেক আইস হকি খেলোয়াড় পাভেল বুরের সঙ্গেই ছিলো তার প্রেম। ২০০৩ সালে কুর্নিকোভার সঙ্গে ফেডরোভের আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হয়ে যায়। প্রেম-বিয়ের রহস্যের জট খুলতে না খুলতেই শোনা যায়, ২০০১ সাল থেকে পপস্টার এনরিক ইগলেসিয়াসের সঙ্গেও প্রেম চালিয়ে আসছিলেন কুর্নিকোভা। ওই বছর এনরিকের একটি মিউজিক ভিডিওতে মডেল হয়েছিলেন তিনি। ২০০৮ সালে সেখানেও বিচ্ছেদ। এর আগেই এই ফ্লোরিডার মিয়ামি বিচের কাছে ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি বিলাশবহুল বাড়ি কিনে অনেকের চোখ ধাঁধিয়ে দেন। আর এখন কুর্নিকোভা সেই বাড়িতেই বসবাস করছেন বলে জানা যায়।