র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), পুলিশ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ভেজালবিরোধী অভিযানে একাধিক ব্যবসায়ীকে জরিমানা ও কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে । গতকাল সকাল থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত এ ভ্রাম্যমাণ আদালত এ অভিযান কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
ডিএনসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে কাওরান বাজারে ৮টি দোকানে ৬২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত। বেলা সাড়ে ১১টায় ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম অজিউর রহমানের নেতৃত্বে এ অভিযান শুরু হয়। এতে অংশ নেন পুলিশসহ সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। ভেজালবিরোধী ও বাজার মনিটরিং অভিযান চলাকালে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ, ভেজালপণ্য জব্দ, ধ্বংস ও বাজার মনিটরিং করা হয়।
বাজারের বিভিন্ন দোকানে মূল্য তালিকা না থাকায় ৫ দোকানে জরিমানা করা হয়। আর ফুটপাথ দখল করে ব্যবসা করার অভিযোগে আরো ৩টি দোকানে জরিমানা আদায় করেন আদালত। দোকানগুলো হলো- কিচেন মার্কেটের হাজী স্টোরকে ১০ হাজার টাকা, হাজী মিজান ট্রেডার্সকে ১০ হাজার, জব্বার স্টোরকে ১০ হাজার, ইউসুফ জেনারেল স্টোরকে ১০ হাজার, জিএম বয়লার হাউজকে ১০ হাজার, সোনারগাঁও জেনারেল স্টোরকে ৫ হাজার, আনোয়ার ট্রেডার্সকে ৫ হাজার টাকা ও পারজোয়া স্টোরকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম অজিউর রহমান জানান, পবিত্র রমজান মাসে মানুষ যেন নির্বিঘ্নে কেনাকাটা করতে পারেন এজন্য আমাদের অভিযান চলছে। রমজান মাস ছাড়া অন্য মাসেও এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। কাওরানবাজার আড়ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন অভিযান প্রসঙ্গে বলেন, কোনো অবৈধ দোকান যেনো না বসতে পারে এজন্য আমরা প্রশাসনকে অভিযানে সহযোগিতা করেছি। প্রশাসন এরইমধ্যে অনেক দোকানকে জরিমানা করেছে। ফুটপাথ দখলের জন্যও জরিমানা করা হয়েছে। এদিকে কাওরানবাজারে ফলের আড়তে ভেজালবিরোধী অভিযান চালিয়ে একজন ফল ব্যবসায়ীকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট। ভেজাল ফল বিক্রির অভিযোগ এনে কাওরানবাজারের এই ফল ব্যবসায়ীকে এ কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মশিউর রহমান। তিনি বলেন, ভেজাল খাবার নিয়ন্ত্রণের অংশ হিসেবে কাওরানবাজারের ফলের আড়তে অভিযান চালাই। কার্বাইড নামক রাসায়নিকের মিশ্রণে কাঁচা আম আর কাঁচা কলা পাকা করে বিক্রি করছিল ব্যবসায়ীরা। অভিযানের খবর পেয়ে অনেকে পালিয়ে যায়। তবে একজনকে ৬ মাসের কারাদণ্ড সহ ১২ কার্টন আম ও ১৫টি কলার ছড়ি ধ্বংস করা হয়েছে। ভেজালবিরোধী এ অভিযান বাজার সহনশীল না হওয়া পর্যন্ত চলবে বলে জানান তিনি।