মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল মাদক দমন অভিযানে বন্দুকের ব্যবহারে উদ্বেগ জানিয়েছেন। আজ সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। এসময় তিনি বলেন, কেন এই উপায়েই মাদক সন্ত্রাস দমন করতে হচ্ছে, অন্য কোনো উপায় কি নেই? আমরা তো একটা যুদ্ধের মধ্যে নেই। আমরা তো একটা স্বাভাবিক অবস্থার মধ্যে বাস করছি। সেই জায়গায় এরকমভাবে দিনে ৫/৬ জন করে যদি বন্দুকযুদ্ধে মারা যায়, সেখানে উদ্বিগ্ন হওয়ারই কথা। এই জন্যই এ সমস্ত ব্যাপারে স্পষ্টভাবে আমাদেরকে অবহিত করতে হবে।
প্রত্যেকটা ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিৎ। আসলেই এখানে বন্দুকযুদ্ধে মারা যাচ্ছে কি না? কিংবা অন্য কোনোভাবে বন্দুকের অপব্যবহার হচ্ছে কি না? সেটাও আমাদের জানা দরকার। কারণ এই অস্ত্রটা আমরাই তুলে দিয়েছি তাদের হাতে। মাদক নির্মূলে কঠোর আইন প্রণয়নের দাবি জানানোর পাশাপাশি তিনি বলেন, অপরাধী যেই হোক না কেন, তার আইনের আশ্রয় পাওয়ার অধিকার রয়েছে। রাষ্ট্রের কতগুলো নিয়ম-নীতি রয়েছে, সে অনুযায়ী তাদের বিচার হতে হবে। এর মাধ্যমে কেউ দোষী প্রমাণিত হয় সেই জন্য যে শাস্তি প্রাপ্য সেটা তাকে দিতে হবে। উল্লেখ্য, মাদক দমনে অভিযান চালাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর দেশের বিভিন্ন জেলায় গত দুই দিনে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।