শিক্ষা মন্ত্রণালয় জেএসসি (জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট) ও জেডিসি (জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট) পরীক্ষায় ২০০ নম্বর কমানোর বিষয়ে আন্তঃশিক্ষাবোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক উপ-কমিটির প্রস্তাবের সঙ্গে একমত হয়েছে । গতকাল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিবের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এমসিকিউ (নৈব্যক্তিক) আগের মতোই রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আগামী রোববার জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির (এনসিসি) সভা ডাকা হয়েছে। সভার বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, ২০০ নম্বর পরীক্ষা কমানোর বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি। বিতর্ক এড়াতে এনসিসির মিটিং ডাকা হয়েছে। মিটিংয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে এ বছর থেকেই এমসিকিউ তুলে দেয়ার পক্ষে। শিক্ষাবর্ষের পাঁচ মাস চলে যাওয়ায় এমসিকিউ বহাল রাখার পক্ষে অন্যরা মত দিয়েছেন। এনসিসি বৈঠকে এ নিয়েও আলোচনা হবে। গত ৮ই মার্চ আন্তঃশিক্ষাবোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক উপ-কমিটির সভায় জেএসসি ও জেডিসিতে বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে ১০০ নম্বর করে পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তাব করা হয়। আর ঐচ্ছিক বিষয়ে (গার্হস্থ্য অর্থনীতি/কৃষি) পরীক্ষা না নিয়ে শ্রেণিকক্ষে ধারাবাহিক মূল্যায়ন করার প্রস্তাব করেন বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকরা। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গতকাল সভা ডাকে মন্ত্রণালয়। সভায় মন্ত্রণালয়ের কলেজ, মাধ্যমিক ও মাদরাসা শাখার অতিরিক্ত সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক, ঢাকা শিক্ষাবোর্ড, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, জাতীয় শিক্ষক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি, ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভা সূত্রে জানা গেছে, বাংলা ও ইংরেজি বিষয়ে ৫০ নম্বর করে কমালে পরীক্ষায় নম্বর বণ্টন কিভাবে হবে। এমসিকিউ কত নম্বরের হবে। এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হলেও কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি। তবে, চলতি বছরের পরীক্ষায় এমসিকিউ রাখার বিষয়ে সচিব ছাড়া সবাই একমত হয়েছেন। গত বছর জেএসসি ও জেডিসিতে ১৩টি বিষয়ের মধ্যে তিনটি বিষয়ের পরীক্ষা তুলে দেয়া হয়। বিষয়গুলো হচ্ছে চারু ও কারুকলা, শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য এবং কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা। এই তিনটি বিষয়ে গত বছর থেকে শ্রেণিকক্ষে ৫০ নম্বরের ধারাবাহিক মূল্যায়ন হচ্ছে। গত বছর জেএসসিতে বাংলা প্রথম পত্র ১০০, দ্বিতীয়পত্র ৫০, ইংরেজি প্রথমপত্র ১০০, দ্বিতীয়পত্র ৫০, গণিত এবং বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং ধর্ম, গার্হস্থ্য অর্থনীতি/কৃষি বিষয়ে ১০০ করে ৮০০ নম্বর এবং তথ্য প্রযুক্তি ৫০ নম্বরসহ মোট ৮৫০ নম্বরের পরীক্ষা হয়েছে। ২০০ নম্বর কমলে চলতি বছর ৬৫০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।