দিনাজপুর প্রতিনিধি:
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি শ্রমিক ও ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীরা ১৯ দাবিতে অষ্টম দিনের মতো গতকাল রবিবারও কয়লাখনির প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ-সমাবেশ অব্যাহত রেখেছেন দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর পার্শ্ববর্তী। এতে কয়লাখনির স্বাভাবিক কার্যক্রম অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
গত ১৫ মে আন্দোলনকারিদের সাথে খনি কর্মকর্তাদের সংঘর্ষ ঘটনায় খনি কর্তৃপক্ষের দায়ের করা দুইটি মামলার পর আন্দোলনরত শ্রমিকদের সংগঠন বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি শ্রমিক ও কর্মচারি ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান বাদি হয়ে গতকাল রবিবার খনির মহাব্যবস্থাপক-জিএম (পিএন্ডপি) এবিএম কামরুজ্জামান ও মহাব্যবস্থাপক-জিএম (প্রশাসন) মো. আবুল কাশেম প্রধানীয়াসহ ১৪জনকে আসামী করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
খনি কর্তৃপক্ষের দাবি, আন্দোলনকারিদের কারণে খনির অভ্যন্তরে অবস্থানরত কর্মকর্তা-কর্মচারিসহ তাদের পরিবার পরিজন অবরুদ্ধ হয়ে আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করছেন। পুলিশের সহায়তায় পরিবারগুলোর জন্য খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ করা হচ্ছে। একই অবস্থায় রয়েছেন খনিতে অবস্থানকারি ৩০০জন বিদেশি খনি বিশেষজ্ঞ।
এদিকে সংঘাত এড়ানোসহ খনি এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে খনির বিভিন্ন এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আন্দোলনরত শ্রমিকদের সংগঠন বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি শ্রমিক ও কর্মচারি ইউনিয়নের সভাপতি রবিউল ইসলাম রবি, সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান, ক্ষতিগ্রস্ত ২০গ্রামের সমন্বয় কমিটির আহবায়ক মশিউর রহমান বুলবুল ও মিজানুর রহমান মিজান বলেন, আন্দোলনকে নস্যাৎ করতে কর্তৃপক্ষ হামলা, মামলা চালিয়ে যাচ্ছেন। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কোন কিছুইতেই আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনকারিরা বাড়ি ফিরবে না। বরং আন্দোলনের ধারাকে আরো তীব্রতর করা হবে। আন্দোলনকারিদের ওপর হামলাসহ মারপিট ঘটনায় খনির দুই জিএমসহ ১৪জনকে আসামী করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, খনির কার্যক্রমকে অচলাবস্থায় ফেলে সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করতেই একটি মহলের উস্কানীতে এই অযৌত্তিক আন্দোলন চালানো হচ্ছে। আন্দোলনকারি শ্রমিকরা চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। তারা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে দাবি নিয়ে কথা না বলে বিসিএমসিএল কর্তৃপক্ষকে জিম্মি করে দাবি আদায়ের অপকৌশল চালাচ্ছে। আন্দোলনকারিদের হামলার শিকার তিনজন কর্মকর্তা এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছেন। উল্টো কর্মকর্তাদের ওপর দায় চাপানোর অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনে চীন থেকে শ্রমিক এনে খনির কাজ চালাবে।

Share Now
May 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031