১৫ দফা দাবিতে বেতন বৃদ্ধিসহ নৌ যান শ্রমিকদের দেশব্যাপি ধর্মঘট চতূর্থ দিনের মত অব্যাহত আছে। রবিবারও চট্টগ্রাম বন্দর থেকে দেশের অনান্য অঞ্চলে নৌ পথে পণ্য ও জ্বালানী তেল পরিবহন বন্ধ আছে।
এদিকে, ঢাকায় শনিবার শ্রমিকদের সাথে সরকারের মধ্যস্থতায় মালিকদের বৈঠকে ১৫দফা দাবি নিয়ে অালোচনা অনুষ্ঠিত হয়। শ্রম অধিদপ্তরে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুর সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে নৌপরিবহন মন্ত্রনালয় ও শ্রম মন্ত্রনালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছাড়াও জাহাজ মালিক ও শ্রমিকদের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এই বৈঠকে নৌ শ্রমিকদের বেতন কাঠামো চূড়ান্ত করার জন্য শ্রম মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিবকে আশরাফুজ্জামানকে প্রধান করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিকে আগামী ১০ মে’র মধ্যে বেতন কাঠামো প্রস্তাব করার নির্দেশও দেয়া হয়েছে। এই কমিটি গঠনের পর শ্রমিকরা ধর্মঘটে প্রত্যাহার করে কাজে ফিরে যাবে কিনা সে ব্যাপারে ২৪ঘন্টা সময় চেয়েছে।”
নৌ যান শ্রমিক ফেডারেশনের মহসচিব চৌধুরী আশিক আলম জানিয়েছেন, বৈঠকে আমাদের দাবি মানার জন্য আগামী ১০ মে পর্যন্ত সময় চেয়েছে, এই ব্যাপারে আমরা আজকের( রবিবার) মধ্যে সিদ্ধান্ত জানাবো।”
“নৌ শ্রমিকদের বেতন কাঠামো ঠিক করার জন্য কমিটি গঠনের বিষয়ে নিজদের মধ্যে অলোচনার প্রয়োজন আছে, সেই জন্য ২৪ ঘন্টা সময় নিয়েছি. উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে, কার্গো ভ্যাসেল ওনার্স এসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট খোরশেদ আলম বলেছেন, “শ্রম মন্ত্রনালয় বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেছে, এই ব্যাপারে একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে, এখন এই কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই বিষয়টির সমাধান হবে।”
শনিবারের বৈঠকে আমাদের অবস্থান তুলে ধরেছি, এখন এটি সরকারের এখতিয়ারে মধ্যে, উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে. নৌ ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের বহি;নোঙ্গরে অবস্থান করা জাহাজগুলো থেকে টানা চতূর্থ দিনের মত কোন পণ্য খালাস করেনি লাইটারেজ জাহাজগুলো। একই সাথে মাঝির ঘাট ও সদরঘাটের ১৬টি ঘাটেও কোন পণ্য উঠানামা করেনি।
বন্দরের বহি : নোঙ্গরে ৫৬টি জাহাজ পন্য খালাসের অপেক্ষায় অাছে বলে বলে বন্দর সূত্রে জানা গেছে।
ন্যূনতম মজুরি ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ, নৌ পথে চাঁদাবাজি বন্ধসহ ১৫ দফা দাবিতে সারাদেশে নৌ-যান শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি চলছে। বুধবার দিনগত মধ্যরাত থেকে বাংলাদেশ নৌ-যান পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের এ কর্মবিরতি শুরু হয়েছে।