প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাসপোর্ট সেবা দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৬৯ সালে যখন আমি দেশের বাইরে যাই, করাচি থেকে পাসপোর্ট এবং ভিসা করতে হত। আমরা তখন কতটা অবহেলিত ছিলাম এ যুগের কেউ তা কল্পনাও করতে পারবে না। পরবর্তীতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়। তিনি স্বাধীনতা না এনে দিলে হয়তো নিজের দেশের পাসপোর্টের স্বপ্ন পূরণ হত না। জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সেই পাসপোর্ট সেবাকে আজ আরো বাড়ানো হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, অতি অল্প সময়ে ১ কোটি ৪০ লাখ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট ও ৩ লাখ মেশিন রিডেবল ভিসা প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতর একটি নজির স্থাপন করেছে। নির্দিষ্ট সময়ে প্রবাসী শ্রমিকদের পাসপোর্ট ব্যর্থ হবে বলে পত্র-পত্রিকায় অনেক হতাশাজনক সংবাদ ছাপানো প্রচার হয়েছিল। এখন আমরা সফল হয়েছি। কোন মিডিয়া এই সফলতা তুলে ধরেনি।
এ সময় শত ব্যস্ততা সত্ত্বেও সশরীরে উপস্থিত হয়ে এই সেবা সপ্তাহের উদ্বোধন করায় তাকে ধন্যবাদ জানান অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রি. জে. মাসুদ রেজওয়ান।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।