পবিত্র রমজানে ব্যবসায়ীদের সহনীয় পর্যায়ে মুনাফার তাগিদ এবং ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান সংকুচিত করার বিষয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর নির্দেশনা জনগণের পকেট কাটাকে উস্কে দেওয়ার সামিল বলে মন্তব্য করেছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম মহানগর ও বিভাগীয় নেতৃবৃন্দ। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ এই মন্তব্য করেন।
রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখা ও মূল্যবৃদ্ধির কারসাজি রোধে গত ১৩ মে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে উৎপাদক, আমদানিকারক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সাথে বাণিজ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে মন্ত্রী রমজানে ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত মুনাফা না করে তা সহনীয় পর্যায়ে রাখা এবং জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বাজার অভিযান সংকুচিত করার কথা বলেন।
এর প্রতিবাদ জানিয়ে এক বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের ১৬ কোটি ভোক্তার ভোগান্তি লাঘবে সরকারি প্রশাসনকে নানামুখী উদ্যোগ নিতে নানা নির্দেশনা প্রদান করে যাচ্ছেন সেখানে বাণিজ্যমন্ত্রী রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের কারসাজিতে জড়িত চিহ্নিত ব্যবসায়ীদের সাথে সভা করে তাদের দাবি অনুযায়ী জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান সংকুচিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।’ বিষয়টি সাধারণ জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে সরকারি উদ্যোগের পরিপন্থী বলে উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে রমজানে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান জোরদারসহ জেলা প্রশাসন, সিটি কর্পোরেশন, বিএসটিআই, কৃষি, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, ক্যাব, গণমাধ্যম ও আইন–শৃংখলা রক্ষাবাহিনীর সমন্বিত উদ্যোগে বাজার মনিটরিং জোরদারের দাবি জানান।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষ হিসাবে ব্যবসা বাণিজ্যের সব স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে যাবতীয় নীতি ও বিধি বিধান এবং সমন্বয় করার কথা থাকলেও তারা বারবার গুটিকয়েক ব্যবসায়ীদের নিয়ে সবকিছু করার কারণে দেশে ব্যবসা বাণিজ্যে অসম প্রতিযোগিতা ও বৈষম্য প্রকট হারে বাড়ছে। তাদের বর্তমান কৌশলের কারণে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং গুটিকয়েক আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছেন।’ নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বর্তমানে যেভাবে পারছেন, সেভাবে মানুষের পকেট কাটছেন। তাদের এই অত্যাচার থেকে অন্যান্য ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষই রেহাই পাচ্ছেন না।’ নেতৃবৃন্দ শীঘ্রই অভিযানের মাধ্যমে এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, মহানগর সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, দক্ষিণ জেলা সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল মান্নান প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।