তিন লাখ টাকা এবং প্রতি পরিবারের একজন সদস্যকে চাকরি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন কেএসআরএম গ্রুপের সিইও মেহেরুন করিম চট্টগ্রাম সাতকানিয়ায় ইফতার ও জাকাত সামগ্রী আনতে গিয়ে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে। তিনি দাবি করেছেন, নারী ও শিশুরা তীব্র গরম, হিটস্ট্রোক ও শ্বাসকষ্টে মারা গেছেন।
সোমবার (১৪ মে) সন্ধ্যা সাতটায় নগরের আগ্রাবাদের কেএসআরএম কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রতিষ্ঠানটির সিইও। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেএসআরএমের ডিজিএম সাখাওয়াত হোসেন ও কর্মকর্তা সৈয়দ নজরুল আলম।
লিখিত বক্তব্যে মেহেরুন করিম বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষকে ইফতার সামগ্রী ও জাকাত দেওয়ার আয়োজন করা হয়। এজন্য সকাল ৮টায় সাতকানিয়ার নলুয়া ইউনিয়নের গাটিয়াডাঙ্গা গ্রামে জাকাত ও ইফতার সামগ্রী দেওয়া শুরু করা হয়। কিন্তু সাড়ে নয়টার দিকে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় নয়জন মহিলা ও শিশু মারা যায়।
সিইও বলেন, প্রথমে ১০ জন মারা যাওয়ার খবর শোনা গেলেও সেখানে একজনকে পাওয়া যাচ্ছিল না। তাই ওই একজনসহ ১০ জন মারা গেছে বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে মিসিং হওয়া ওই একজনকে তার পরিবার সন্ধান পায়। সে হিসেবে আটজন নারী ও একজন শিশু মারা যায়। আমাদের কোনো অব্যবস্থাপনা ছিল না।
মেহেরুন করিম বলেন, পুলিশের ১০০ জন ও আমাদের সিকিউরিটির ২০০ জন সদস্য ত্রাণ বিতরণের সময় কাজ করেন। হিটস্ট্রোক, গরম ও শ্বাসকষ্টে এ নয়জন মারা যান। তাদের প্রত্যেককে তিন লাখ টাকা ও পরিবারের চাকরি করতে সক্ষম একজন সদস্যকে চাকরির ব্যবস্থা করবে কেএসআরএম।
তবে এখনো পর্যন্ত এ ব্যাপারে পুলিশের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক।