শিবচরের উমেদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে তা ভিডিও করে টানা তিন বছর শারীরিক সম্পর্ক করার অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষক রবিউল ইসলামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ মাদারীপুরের। বিষয়টির সত্যতা শনিবার দুপুরে নিশ্চিত করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। মামলার প্রায় সপ্তাহ পেরুলেও শিক্ষক রবিউলকে এখনো গ্রেপ্তার না করায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা যায়, জেলার শিবচর উপজেলার উমেদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে একই বিদ্যালয়ের ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। দশম শ্রেণির ওই মেধাবী ছাত্রী ১৩ মার্চ রবিউলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে তার ভিডিও ধারণ করে প্রায় তিন বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ করে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে। এরপরই বের হয়ে আসে একের পর এক অপকর্মর তথ্য। বের হয় ওই মেয়ের সাথে আপত্তিকর ছবি অডিও রেকর্ডিং।
এরপর ৯ম ও দশম শ্রেণির আরও দুই শিক্ষার্থীর পরিবারের পক্ষ থেকেও নাম প্রকাশে না করার শর্তে শিক্ষক রবিউলের বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলেন। এরপর রবিউল গা ঢাকা দেন। স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে কারণদর্শানোর নোটিশ করেও কোন উত্তর পায়নি বলে জানা যায়।
উমেদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোকনুজ্জামান বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছেন ম্যানেজিং কমিটি। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সে শিক্ষক সমাজকে কলঙ্কিত করেছে।