নগরীর বোয়ালিয়া থানার দায়িত্বরত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) শাহারুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শাহারুল জানান, জোড়া লাশ উদ্ধারের ঘটনায় থানায় একটিই মামলা হয়েছে। আর লাশ দুটি ময়নাতদন্তের পর শনিবার দুপুরে তাদের পরিবারের সদস্যরা নিয়ে গেছেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান ও পাবনা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী সুমাইয়া নিজেদের স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ওই হোটেলে উঠেছিলেন।
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন খান বলেন, “নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে আমরা জানতে পেরেছি, তারা বিবাহিত ছিলেন না। প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, প্রেমিকা সুমাইয়াকে রাজশাহীতে ডেকে এনে হোটেল কক্ষে পিটিয়ে হত্যার পর প্রেমিক মিজানুর রহমান আত্মহত্যা করেন। তবে বিষয়টি এখনো পুরোপুরি নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হতে আরো দু-এক দিন সময় লাগবে।”
শুক্রবার দুপুরে রাজশাহী মহানগরীর সাহেব বাজার এলাকায় তিন তারকা বিশিষ্ট হোটেল নাইস ইন্টারন্যাশনালের ৩০৩ নম্বর কক্ষে ওই দুই তরুণ-তরুণীর লাশ পাওয়া যায়। এর আগে গত বুধবার স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলে ওঠেন তারা।
সুমাইয়া নাসরিন (২১) বগুড়ার উপশহর এলাকার বাসিন্দা আবদুল করিমের মেয়ে। তিনি পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। থাকতেন পাবনা শহরের রাঁধানগর এলাকায়।
আর মিজানুর রহমান (২৩) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পাঠানপাড়া গ্রামে। বাবার নাম উমেদ আলী।
বৃহস্পতিবার রাতে মিজান তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে একটি সুইসাইড নোট পোস্ট করেছিলেন।
শুক্রবার হোটেল নাইসের ৩০৩ নম্বর কক্ষ থেকে যখন দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে পুলিশ, তখন মেয়েটির লাশ ছিল বিছানায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে ক্ষতবিক্ষত তার মুখ ঢাকা ছিল বালিশ দিয়ে। আর মিজানুর রহমানের লাশ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। মেয়েটির ওড়না দিয়ে বাঁধা ছিল তার দুই হাত। পরনের প্যান্ট খুলে আটকে ছিল পায়ের গোড়ালির কাছে।
হোটেল থেকে লাশ উদ্ধারের ঘটনায় শুক্রবার ওই হোটেলের এক সুপারভাইজার ও তিন বয়কে আটক করে পুলিশ। – See more at: http://www.dhakatimes24.com/2016/04/23/110384#sthash.siMh0C0Z.dpuf