দিনাজপুর প্রতিনিধি:
১২গ্রামের পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া ৬০০বিঘা ইরি-বোরো ধান ক্ষেত রক্ষার দাবিতে এলাকার কৃষকরা ঘন্টাব্যাপী ফুলবাড়ি-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর দুইটি ইউনিয়নের । অবরোধোরে কারণে সড়কের উভয় পার্শ্বে ছোটবড় দুই শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে।
কৃষকরা বেলা সাড়ে ১২টায় ফুলবাড়ী-ঢাকা মহাসড়কের ফুলবাড়ী উপজেলার লক্ষ্মীপুর বাজার নামক স্থানে সড়কের গাছ কেটে সড়কে ফেলে রেখে অবরোধসহ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ খুরশিদ আলম মতি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম চৌধুরী, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ নাসিম হাবিব, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল কাদির বাবু, ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের মন্ডল, আব্দুল আজিজ মন্ডল, উপাধ্যক্ষ শাহ মো. আব্দুল কুদ্দুস ও মানিক রতন ঘটনাস্থলে গিয়ে কৃষকদের সমস্যাটি তাৎক্ষণিক সমাধানের আশ্বাস দিলে বিক্ষুদ্ধ কৃষকরা সড়কের অবরোধ তুলে নেন।
উপজেলার খয়েরবাড়ি ইউনিয়নের মহদিপুর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আইনুল ইসলাম, মোশাররফ হোসেন, লক্ষ্মীপুরের আব্দুল শহিদ, লালপুরের মোকলেছুর রহমান, দৌলতপুর ইউনিয়নের বারাইপাড়া গ্রামের মিজানুর রহমান, ইশাহাক আলী, ঘোনাপাড়ার সায়েদ আলী ও গড়পিংলাইয়ের রফিকুল ইসলাম বলেন, বারাইপাড়া গ্রামের শরিফুল ইসলামের পাঁচ শতাংশ পাটক্ষেতের কারণে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দুই ইউনিয়নের ১২টি গ্রামের ৬০০বিঘা জমির ইরি-বোরো ধানক্ষেত এলাকা ভেদে দুই থেকে চার ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ফসল রক্ষার জন্য কৃষকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কৃষি কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে একাধিকবার অভিযোগ করার পর এলাকার পানি প্রবাহের বাধাগ্রস্ত অন্য পথগুলো খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। বারাইপাড়া গ্রামের শরিফুল ইসলামের পাঁচ শতাংশ পাট ক্ষেত দিয়ে পানি প্রবাহ করাতে না দেওয়ায় তলিয়ে যাওয়া ক্ষেতের ধান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। দিশেহারা কৃষকরা উপায়ান্ত না পেয়েই জমির ফসল রক্ষার দাবিতে সড়ক অবরোধসহ বিক্ষোভ করেছেন।
খয়েরবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের মন্ডল ও দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ মন্ডল বলেন, বিষয়টি নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের সাথে আলোচনাসহ ঘটনাস্থলগুলো পরিদর্শন করে পানি প্রবাহের বাধাগ্রস্ত করা ৯টি পুকুরের বাঁধ খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে বারাইপাড়া এলাকার শরিফুল ইসলাম তার পাট দিয়ে পানি প্রবাহের রাস্তা বন্ধ রেখেছেন। তাকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলার পরও তিনি পানি নামতে দিচ্ছেন না। ফলে জমির ধানগুলো পানির নিচে তলিয়ে আছে। এতে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে গেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম চৌধুরী বলেন, বিষয়টি জানার পরপরই গত বুধবার (৯মে) সকালে পানি প্রবাহ বন্ধ হওয়া ৯টি পুুকুরের বাঁধ খুলে দেওয়া হয়েছে। যাকে নিয়ে সমস্যা সেটিও তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানের মাধ্যমে পানি প্রবাহ পথ খুলে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ খুরশিদ আলম মতি বলেন, ব্যক্তি বিশেষের সামান্য ক্ষতির কারণে গোটা এলাকার কৃষকদের ক্ষতি হচ্ছে বলে শরিফুলের জমি দিয়ে পানি প্রবাহের পথ খুলে দিয়ে সমস্যাটি সমাধান করা হয়েছে।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | ||||||
2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 |
9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 | 15 |
16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 | 22 |
23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 | 29 |
30 | 31 |