তেমনি সেই বাধা কাটায় এখন স্বস্তিতে তারা ভোটে অপ্রত্যাশিত বাধা আসার পর গাজীপুরবাসী যেমন হতাশায় পড়েছিল,।
১৫ মের ভোটকে সামনে রেখে জমজমাট প্রচার চলাকালে ৬ মে হঠাৎ গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্থগিতাদেশ দেয় হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগ সেই স্থগিতাদেশ বাতিল করে দিয়ে ২৮ জুনের মধ্যে ভোটের আয়োজন করতে বলেছে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, নতুন করে তফসিল ঘোষণা হবে না, কেবল ভোটের তারিখ দেবেন তারা। আর ১৩ মে কমিশন সভায় নির্ধারণ হবে সব কিছু। আর এতে গাজীপুরের প্রার্থী আর ভোটাররা এতে আনন্দিত।
আপিল বিভাগের আদেশের পর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আনন্দ মিছিল হয়েছে টঙ্গীসহ বিভিন্ন এলাকায়। মিছিল হয়েছে জয়দেবপুর ও ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজেও।
আপিল শুনানির দিন ছয়দানা এলাকায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের বাসভবনে সকাল থেকেই বাড়তে থাকে নেতাকর্মীদের ভিড়। আপিল বিভাগ কী রায় দেয় তা নিয়ে চলে নানা আলোচনা। দুপুরে নির্বাচনের স্থগিতাদেশ বাতিলের রায় শুনে উপস্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা দেয়।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলেন, আদালতের আদেশে গাজীপুরবাসীর মনের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র আসাদুর রহমান কিরন বলেন, ‘নির্বাচনে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার নিঃসন্দেহে একটি ভাল খবর। এখন আর কোন আইনগত বাধা নেই। কিন্তু নির্বাচনটি নির্দিষ্ট সময়ে হলেই ভাল হতো। এখন যেহেতু রমজান মাস এসে গেছে, তাই পরবর্তী তারিখের দিকেই আমরা চেয়ে আছি।’
ভোটাররা বলছেন, নির্বাচনে যে উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল সেটি এখন আর নেই। নির্বাচনের উৎসব জমতে কিছুটা সময় লাগবে।
গাজীপুর সদরের ভোটার সোহেল বলেন, ‘হুনছি কোর্ট নির্বাচন করার জন্য কইছে। এখন তাইলে মনে অয় নির্বাচন হবে। আমরা ভোট দিতে পারমু’।
ব্যবসায়ী নাজমুল বলেন, ‘নির্বাচন স্থগিত হওয়ার আদেশ পেয়ে মনটা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। আপিলের রায়ে ভোটের অধিকার পাওয়ায় এখন ভালো লাগছে। তবে নির্বাচন কমিশন আগে ভাগেই ১৫ তারিখ নির্বাচন সম্ভব নয় বলে যে বক্তব্য দিয়েছে তা নিয়ে আমার প্রশ্ন রয়েছে।’
বিএনপির প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার আদালতের প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন, ‘ষড়ন্ত্রমূলক এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৬ মে উচ্চ আদালত নির্বাচন স্থগিত হয়। আল্লাহর অশেষ মেহেরবানিতে আমি তাতে সফল হয়েছি। ভোটের লড়াইয়েও জনগণের সহযোগিতায় আমি সফল হব।’
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী ছাইয়্যেদুল আলম বলছেন, ১৫ তারিখের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব নয় ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন কমিশনার নিজের ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এখন এই নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন কী করে তা দেখার বিষয়।’
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৫ মে সিটি করপোরেশনের ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের এবিএম আজহারুল ইসলাম সুরুজের করা রিট আবেদনে গত ৬ মে নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করে হাইকোর্ট।
পরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম, বিএনপির প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার ও নির্বাচন কমিশন আপিল বিভাগের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করে।