‘রাজস্ব আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস হচ্ছে চট্টগ্রাম কাস্টম ও বন্দর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার ড. নাসির উদ্দীন আহমেদ বলেছেন, । আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রে এ দুটি প্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পণ্য খালাস প্রক্রিয়াসহ বিভিন্ন কাজে গ্রাহকরা এখানে চরম হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। অতিরিক্ত অর্থ না দিলে কাস্টম ও বন্দরে ফাইল নড়ে না বলেও অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া সার্ভার সমস্যার কারণে কাস্টমসের কাজ কর্মে ব্যাঘাত ঘটছে।’ বন্দর ও কাস্টমসের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করলে রাজস্ব সুরক্ষা বৃদ্ধি ও গ্রাহক হয়রানি থেকে মুক্তি পাবে বলে জানান ড. নাসির। এছাড়া তিনি কাস্টম ও বন্দরে দুর্নীতি সহ্য করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন। গতকাল সকালে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অডিটোরিয়ামে ‘চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস–চট্টগ্রাম বন্দরে দুর্নীতিমুক্ত মানসম্মত সেবা প্রদান’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চট্টগ্রাম কার্যালয় কর্তৃক আয়োজিত কর্মশালায় প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল– ‘বন্ধ হলে দুর্নীতি, উন্নয়নে আসবে গতি’। দুদক কমিশনার বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে চট্টগ্রাম অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। বিপ্লবী মাস্টার দ্যা সূর্যসেন ও প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারসহ অনেক ত্যাগী ও মহান ব্যক্তির জন্ম চট্টগ্রামে। এখানে যদি কোনো ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতি থাকে তা মেনে নেয়া যায় না। আমরা চট্টগ্রামকে আলোকবর্তিকা হিসেবে দেখতে চাই। নিজেকে দুর্নীতিমুক্ত রেখে মানুষের কল্যাণে কাজ করবো এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু মেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে আসবোণ্ড এটাই সকলের প্রত্যাশা।’
চট্টগ্রামের কমিশনার অব কাস্টমস ড. এ কে এম নুরুজ্জামানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্ল্যানিং) মো. জাফর আলম (যুগ্ম সচিব)। স্বাগত বক্তব্য রাখেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মো. আক্তার হোসেন। কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুদক পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান, দুদক, সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ–পরিচালক মাহবুব আলম, মেট্রো কার্যালয়ের উপ–পরিচালক লুৎফর রহমান চন্দন, দুদক কমিশনারের একান্ত সচিব মিজানুর রহমান, কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার নাহিদ হাসান মুকুল, অতিরিক্ত কমিশনার মাহবুব, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বারের সহ–সভাপতি মাহবুব আলম চৌধুরী, উইমেন চেম্বারের সহ–সভাপতি আবিদা মুস্তফা, চট্টগ্রাম চেম্বারের পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম কমু, প্রতিরোধ কমিটির বাঁশখালী উপজেলার সভাপতি তাপস কুমার নন্দী, চন্দনাইশের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
কর্মশালায় চট্টগ্রাম কাস্টম ও বন্দরের বিভিন্ন স্তরে কর্মরত কর্মকর্তা, স্টেক হোল্ডার, চেম্বার প্রতিনিধি, বিকেএমইএ প্রতিনিধি, সিএন্ডএফ এজেন্ট, শিপিং এজেন্ট, মহানগর ও বিভিন্ন উপজেলার দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি–সম্পাদকগণ অংশ নেন।