DSCমোহাম্মদ শফিউল আলম মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সচিব  বলেছেন, মানুষের মনের পরিবর্তন হলে সবকিছু শুদ্ধ হয়ে যাবে । সুশাসন প্রতিষ্ঠা, দুর্নীতি দমন, শুদ্ধাচার ও জনগণের কাছে সেবা পৌঁছে দেয়ার পদ্ধতি আরো সহজীকরণ করে মাঠ প্রশাসনকে ঢেলে সাজানো হয়েছে।
শনিবার(২৩ এপ্রিল)বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ ও জেলা প্রশাসন আয়োজিত জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল সংক্রান্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নাগরিক সেবায় সারাদেশে উদ্ভাবনের চর্চা শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হয়েছে। গত দুই বছরে সরকারের মধ্যে উদ্ভাবনী সংস্কৃতির একটি শক্তিশালী ধারা গড়ে উঠেছে। আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সারাদেশের বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকগণ সরকারের এ ধরনের কর্মকান্ডে সহায়তা করেছে। পাশাপাশি মন্ত্রণালয় থেকেও আমরা সহায়তা করে যাচ্ছি।

‘শুদ্ধাচারের মাধ্যমে উদ্ভাবনী সংস্কৃতিকে শক্তিশালী করে তোলার কাজকে সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এই উদ্ভাবনী সংস্কৃতিকে আরো শক্তিশালী করতে হলে সরকারের বিভিন্নস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সততা ও শুদ্ধাচারের কোনো বিকল্প নেই, বলেন তিনি’।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্বৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘সুখী ও সমৃদ্ধশালী দেশ গড়তে হলে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে উৎপাদন বাড়াতে হবে। কিন্তু একটি কথা ভুলে গেলে চলবে না-চরিত্রের পরিবর্তন না হলে এই অভাগা দেশের ভাগ্য ফেরানো যাবে কিনা সন্দেহ। স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি ও আত্মপ্রবঞ্চনার উর্ধ্বে থেকে আমাদের সকলকে আত্মসমারোচনা, আত্মসংযম ও আত্মশুদ্ধি করতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- নির্বাহী বিভাগ ও জনপ্রশাসন, জাতীয় সম্পদ, বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়, সরকারি কর্মকমিশন, মহা হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়, ন্যায়পাল, দুর্নীতি দমন কমিশন ও স্থানীয় সরকার। আর অরাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হচ্ছে-রাজনৈতিক দল, বেসরকারি খাতের শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, এনজিও সুশীল সমাজ, পরিবার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যম।

মন্ত্রী পরিষদ সচিব বলেন, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী সুপারিশগুলো হচ্ছে- সিভিল সার্ভিস আইন প্রণয়ন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ‘কর্মজীবন উন্নয়ন পরিকল্পনা’ প্রণয়ন, কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মকালীন প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান সমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধি, জীবন যাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বেতন কাঠামো নির্ধারণ এবং ই-গভর্নেন্স প্রবর্তন ও প্রসার। এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠিত হবে।

জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রোগ্রামের ক্যাফাসিটি ডেভেলপমেন্ট অফিসার মানিক মাহমুদ, মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের উপ-সচিব আলতাফ হোসেন শেখ ও মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ কামরুল হাসান।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) এম এন জিয়াউল আলম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. রুহুল আমীন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বহিরাগমন ও নিরাপত্তা) মোস্তাফা কামাল উদ্দিন, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোহাং শফিকুল ইসলাম, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার, এনআইএস সাপোর্ট প্রজেক্টের ন্যাশনাল কনসালটেন্ট মো. শফিউল আলম, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার শংকর রঞ্জন সাহা, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. খলিলুর রহমান, বিভাগীয় পরিচালক (স্থানীয় সরকার) দীপক চক্রবর্তী।

Share Now
May 2025
M T W T F S S
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031