মানববন্ধন করেছেন জেলার মহম্মদপুরের ঘোষপুর এলাকার অভিভাবকরা ২০১৮ সালের দাখিল পরীক্ষায় শতভাগ ফেল করায় মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি ও শিক্ষকদের অযোগ্যতাকে দায়ী করে ।
মঙ্গলবার সকালে ঘোষপুর রিজিয়া রুবিয়া দাখিল মাদ্রাসার অভিভাবকরা মাদ্রাসার অব্যবস্থাপনায় ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষকদের অপসারণ দাবি করে এ মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধন শেষে সমাবেশে বক্তব্য দেন- স্থানীয় অভিভাবক আনোয়ার হোসেন, আজাদুর রহমান, কাজী আলিয়ার রহমান প্রমুখ।
অভিভাবকদের অভিযোগ, মাদ্রাসাটিতে প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই অধ্যক্ষ পদ শূন্য। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তার আত্মীয় তাহমিনা পারভিনকে সুপারিনটেন্ডেন্টের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দিয়ে মাদ্রাসা চালাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, ১৪ জন শিক্ষকের মধ্যে সভাপতির জামাই, ছেলেসহ অন্তত ১০ জন আত্মীয় রয়েছেন। এই আত্মীয়করণ ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে এ বছর ২০ জন দাখিল পরীক্ষার্থীর কেউ পাস করেনি। কারণ এখানে শিক্ষকরা অযোগ্যতার কারণে শিক্ষাদানে ব্যর্থ হয়েছেন। এমনকি তাদের কাছে তথ্য আছে, অনেক শিক্ষকের সনদ জাল ও মোটা অংকের ঘুষ দিয়ে এখানে চাকরি নিয়েছেন। ফলে পাঠদান একেবারেই নিম্নামানের হয়ে পড়েছে। এই অবস্থার উন্নয়নে শিক্ষকদের অপসারণ করে যোগ্য শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানান তারা।
মাদ্রাসা পরিচলনা পর্ষদের সদস্য আব্দুর রউফ জানান, শতভাগ ফেলের বিষয়টি জানতে পেরেছি। কেন এমনটি হলো এ ব্যাপারে আগামী পরিচালনা পরিষদের মিটিংয়ে খতিয়ে দেখব। তবে সৃজনশীল প্রশ্ন হওয়ার কারণে পরীক্ষার্থীরা বেশ দুর্বল থাকলেও শতভাগ ফেলের বিষয়টি অবিশ্বাস্য।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার তহমিনা পারভীন জানান, এটা একটা দুর্ঘটনা। গণিতের শিক্ষক নেই, সৃজনশীলসহ নানা সীমাদ্ধতা রয়েছে আমাদের। গত বছর ১২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১১ জন পাস করেছিল। তবে আমাদের সবাই ফেল করবে বিষয়টি এমন নয়। আমরা মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডে সাথে যোগাযোগ করে উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।