ঈদের পরে ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা হবে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহবায়ক ড. কামাল হোসেন বলেছেন। সেখান থেকেই জাতীয় ঐক্যের ডাক দেয়া হবে। গাজীপুর সিটি নির্বাচন স্থগিতের প্রসঙ্গ টেনে এই সংবিধান প্রণেতা প্রশ্ন তোলেন, ভবিষ্যতে নির্বাচন ব্যবস্থাই স্থগিত হয়ে যায় কিনা? সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সর্বগ্রাসী লুণ্ঠন বাংলাদেশের বিপুল সম্ভবনাকে ধ্বংস করছে’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ড. কামাল হোসেন বলেন, আমাদেরকে এই সময়ের মধ্যে নিজেদের সুসংগঠিত করতে হবে। জেলায় জেলায়, থানায় থানায় নির্দিষ্ট করতে হবে কাকে আমরা প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করবো। এই দেশের মালিক জনগণ, দেশের ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে। আমাদের তো প্রতিবাদ করার কথা ছিলো ।
আলোচনায় অংশ নিয়ে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এখন ঘরে ঘরেই বেকার রয়েছে, প্রতিবছর বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। এটাকে দ্রুত কমাতে হবে। দেশের পরিবর্তন করতে হবে। দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ডকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ বলেন, এই সর্বগ্রাসী সরকারকে সরিয়ে একটা গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া কাজ করে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের আগে যে সরকার ছিলো আর এ বিনাভোটের সরকারের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। এটা মহাজোটের সরকার নয়, এটা মহালুটের সরকার। তিনি বলেন, আগের সরকারের সময় দুর্নীতি ছিলো, তখন ছিলো হাওয়া ভবন এখন হইছে খাওয়া ভবন। বিদেশেও নাকি এখন তার শাখা হয়েছে। গণফোরাম নেতা সুব্রত চৌধুরী বলেন, এক শ্রেণির লোক মহাৎসবে দুর্নীতি করে যাচ্ছে আর আমরা চোখে কালো চশমা দিয়ে দেখছি। আমরা চেয়েছিলাম সুশাসন, দেশে এখন চলছে কুশাসন। অনির্বাচিত এ সরকার অবৈধ, আমরা তার কাছে কি আশা করতে পারি। গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টুর সঞ্চলনায় আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার মহাসচিব আ ব ম মোস্তফা আমিন, আবদুল জলীল প্রমুখ।