গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
সকল সড়কে এখন চলছে ইরি বোর মৌসুমের নবান্ন উৎসব। সড়ক গুলো পরিনত হয়েছে উঠেছে ধান ও খড় শুকানো এবং মারাইয়ের একমাত্র উঠান গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার । যার কারণে যানবাহন ও পথচারিরা অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এ কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোটখাট সড়ক দুর্ঘটনা। প্রতিদিনের কম বেশি বৃষ্টি বাদল কৃষক-কৃষাণীদের হাফিয়ে তুলেছে।
উপজেলার সকল প্রকার কাঁচা ও পাকা সড়কে চলছে ধান মারাইয় ও খড় শুকানোর কাজ। একটু রোদের ঝিলিক দেখা দেয়া মাত্রই কৃষক-কৃষাণীরা সড়ক গুলোতে ধান ও খড় নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। যার কারণে রিক্সা, ভ্যান, আটোবাইক, মোটর সাইকেল, বাইসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপুর্ণ হয়ে উঠেছে। এছাড়া খড়ের উপর দিয়ে যানবাহন চলাচলের কারণে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে রিক্সা, ভ্যান ও আটোবাইক চালকরা। এনিয়ে যাত্রীদের সাথে সবসময়ে বাক্বিতন্ডা লেগেই চলছে। এমনকি দুর্ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। অপরদিকে ধান ও খড়ের ধুলাবালি পথচারিদের চোখে মুখে পড়ে অনেকে নানাবিধ রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। কথা হয় বেলকা বাজারের ভ্যান চালক ফয়জার রহমানের সাথে। তিনি বলেন উপজেলার গোটা সড়কে ধান এবং খড় শুকাচ্ছে কৃষকরা। সে জন্য ভ্যান চালাতে খুব কষ্ঠ হচ্ছে। এ কারণে ভাড়া বেশি চাইলে কথা কাটাকাটি হচ্ছে যাত্রীদের সাথে। মধ্য বেলকা গ্রামের কৃষক নুরুল ইসলাম জানান, বাড়িতে উঠান নাই। সে জন্য সড়কে ধান কাটামারি করছি। অভিজ্ঞ মহলের ধারণা দিন-দিন জনসংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে মানুষজন উঠান ছাড়াই অপরিকল্পিতভাবে বসতবাড়ি নির্মাণ করছেন। সে কারণে বিভিন্ন মৌসুমের ধান কাটা মারাইয়ে সড়ক ব্যবহার করতে হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম গোলাম কিবরিয়া জানান , অসচেতনার অভাবে কৃষকরা সড়কে ধান ও খড় শুকানোর কাজ করছে।