সিএনজি শ্রমিক ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে সিএনজি অটোরিকশা চলাচলের পরিবহন সংকটে পরেছে শায়েস্তাগঞ্জে উপজেলার হাজার হাজার যাত্রী হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে । গন্তব্যে যেতে পোহাতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগ।উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের অলিপুর থেকে শায়েস্তাগঞ্জে নতুন ব্রীজ পর্যন্ত গণপরিবহন সংকট দেখা দেয়।মহাসড়কে পরিবহন না পেয়ে সাধারণ যাত্রীরা হেঁটে গন্তব্যে যাচ্ছে।স্কুলগামী ছাত্রছাত্রীদের প্রতিদিন ৪/৫ কিলোমিটার সড়ক হেঁটে স্কুলে যেতে হচ্ছে।উপজেলার মহাসড়ক সিএনজি অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত রিক্সা বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা। অলিপুরে অবস্থিত প্রাণ আর এফ এল কোম্পানির কর্মব্যস্ত মহিলা শ্রমিক আসমা বেগম (৩০)ক্ষোভের সঙ্গে জানান, সিএনজি অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়া জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাতে দুই/তিন কিলোমিটার হেঁটে বাড়ি যাচ্ছি, বিকল্প ব্যবস্থা না করে মহাসড়ক থেকে সিএনজি অটো বন্ধ করা উচিত হয়নি। সরকারের উচিত অবিলম্বে বিকল্প পরিবহনের ব্যবস্থা করা। পথচারী মিলি আক্তার জানান, অটো বন্ধ করায় আমরা সাধারণ যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছি।আর এক পথচারী আবদাল হোসেন জানান, সুতাং বাজার থেকে শায়েস্তাগঞ্জে যাওয়ার জন্য সিএনজি না থাকায় অতিরিক্ত যাত্রী চাপ থাকায় মাইক্রো ও জিপগাড়ীগুলো যাত্রীর কাছ থেকে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছে। এতে সচেতন মহল মনে করেন সাধারণ যাত্রীদের দুর্ভোগ চিন্তা করে সরকার বিকল্প ব্যবস্থা নেয়ার প্রয়োজন।
উল্লেখ্য,গত ২৭শে এপ্রিল সিএনজি শ্রমিক ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের পর থেকে শায়েস্তাগঞ্জে উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে কোন সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করতে দেখা না গেলেও কমসংখ্যক মাইক্রো,জিপগাড়ী চলতে দেখা গেছে।সুতাং বাজার থেকে শায়েস্তাগঞ্জ পর্যন্ত ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মোড়ে মোড়ে শত শত যাত্রীকে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়।