এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে অকৃতকার্য হওয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে ও বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে ৭ ছাত্রী রংপুরে । এর মধ্যে রোকেয়া নামের এক ছাত্রী মারা গেছে। অপর ছয় শিক্ষার্থীকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, তাদের অবস্থা আশংঙ্কাজনক।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, রোববার বেলা ২টায় এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণার পর রংপুর সদর উপজেলার হরিদেবপুর ইউনিয়নের আজাহারুল ইসলামের মেয়ে রোকেয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে খবর নিয়ে জানতে পারে সে পাশ করতে পারেনি। এতে দুঃখে অভিমানে বাসায় এসে গলায় ফাঁস দিলে তার মৃত্যু হয়।
পরিবারের সদস্যরা দেখতে পেয়ে তাৎক্ষনিকভাবে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এদিকে পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে না পেরে বিষ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় আরো ৬ ছাত্রী। তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীরা হলো, নগরীর উত্তম বখতিয়ার পুর হাজিরহাট এলাকার শহিদুল ইসলাম মিন্টুর মেয়ে খাদিজা, দেওডোবা ডাঙ্গীরপার এলাকার রইচ উদ্দিনের মেয়ে শারমিন, গঙ্গাচড়া উপজেলার বেতগাড়ি এলাকার তাইজিরুল ইসলামের মেয়ে তানজিনা, নগরীর তাজহাট মোল্লাপাড়া এলাকার গণেশ রায়ের মেয়ে শিবা রানী, পীরগাছা চৌধুরানী এলাকার আব্দুস সালামের মেয়ে সমাপ্তি এবং শহরের সেনপাড়া এলাকার অলক রায়ের মেয়ে প্রীতি রায়। এদের মধ্যে সমাপ্তি ফাঁস দিয়ে এবং অন্যরা বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে তার পরিবারের সদস্যরা জানান। এ সকল শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যদের আহাজারি কান্নায় মেডিকেল হাসপাতালের পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে। শুরু হয় চিকিৎসকদের ব্যস্ততা। এদিকে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে সর্বত্রই ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। মুর্হুতের মধ্যে গণমাধ্যম কর্মীরা সেখানে ছুটে যায়। এ সময় হাসপাতালে লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে। রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক জানান, সকলের অবস্থা আশঙ্কাজনক। হাসপাতাল থেকে তাদের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।