প্রগতির ধারায় বিশ্বায়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষা খাতে বর্তমান সরকার অভাবনীয় উন্নয়ন করেছে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন। অতীতের কোনো সরকার শিক্ষা খাতে এত উন্নয়ন করেনি।
শনিবার দিনাজপুরের বিরল উপজেলার নাড়াবাড়ী বালিকা বিদ্যালয়ে আয়োজিত এক অভিভাবক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণী করা হয়।
খালিদ মাহমুদ বলেন, সম্পূর্ণ সরকারিভাবে প্রাথমিক শিক্ষার পাশাপাশি সরকার প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা চালু করেছে। ক্ষমতায় আসার পর ২০১০ সাল থেকে বছরের প্রথম দিনে আওয়ামী লীগ সরকার প্রাক প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাসহ মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দিচ্ছে। শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দিচ্ছে। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় করে দিয়েছে। আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষানীতি করে সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিশ্বমানে নিয়ে গেছে।
খালিদ মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশ গড়ার পরিকল্পনা থেকেই সরকার প্রধান শেখ হাসিনা দক্ষ ও যোগ্য মানবসম্পদ তৈরি করতে শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক করেছেন। বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষাসম্পন্ন করা ছেলেমেয়ের হার প্রায় শতভাগ। বিএনপির সময় এ হার ছিল ৬১ শতাংশ। স্বাক্ষরতার হারও প্রায় শতভাগ। বর্তমান সরকার দরিদ্র শিক্ষার্থীদের স্কুলে খাওয়ার ব্যবস্থাও করেছে। নতুন শ্রেণিকক্ষ তৈরি হয়েছে। শিক্ষার সঙ্গে প্রযুক্তি যুক্ত হয়েছে, যেন তথ্য-প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ হয়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা বিশ্বমানের হতে পারে।
শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের কথা উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ বলেন, মাধ্যমিক এবং উচ্চ শিক্ষার মানোন্নয়নে ‘জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০’ প্রণয়ন, আধুনিক ও যুগোপযোগী সিলেবাস প্রণয়ন, ছাত্র-ছাত্রীকে উপবৃত্তি প্রদান, শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড গঠন, শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার, মাল্টিমিডিয়া ক্লাশরুম স্থাপন, কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন, সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এসব বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অবদান। উন্নত ও প্রযুক্তিবান্ধব প্রজন্ম গড়ে তুলতে আগামীতেও শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দেশ আবারো পিছিয়ে যাবে। প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে যাবে আমাদের সন্তানেরা।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রওশন কবীর। আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) এম আব্দুল লতিফ, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, অধ্যক্ষ সুফিয়া নাহার মঞ্জু, অধ্যক্ষ লাইজু, অধ্যাপক আব্দুস সবুর প্রমুখ।