সিলেটে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানকে নিয়ে জল্পনার অন্ত নেই । তাকে ঘিরে সরব হয়ে উঠেছে সিলেটের ভোটের মাঠ। ঈদ-পার্বণে জোবায়দাকে নিয়ে পোস্টারিং করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ সুরমায় তাকে নিয়ে পোস্টারিং করেছেন সাবেক মেয়র প্রার্থী ও যুবদল নেতা সালাহউদ্দিন রিমনসহ কয়েকজন। এসব পোস্টারে শোভা পাচ্ছে ডা. জোবায়দা রহমানের নাম ও ছবি। তবে ভোটের মাঠে জোবায়দা নামবেন কী না- এ নিয়েও ধোঁয়াশা কাটছে না।
সিলেটের মেয়ে ডা. জোবায়দা রহমান। সাবেক নৌ-বাহিনীর প্রধান এমএ খানের মেয়ে তিনি। বৈবাহিক সূত্রে জোবায়দা রহমান জিয়া পরিবারের বউ হলেও তার পিতা এমএ খানও ছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম। সিলেটের বনেদি পরিবারের সন্তান তিনি। গেল কয়েক বছর ধরে সিলেট বিএনপির রাজনীতিতে সবচেয়ে বেশি আলোচিত হচ্ছে জোবায়দা রহমানের নাম। নানা কারণে অতীতে সিলেট বিএনপি ঐক্যবদ্ধ হতে পারেনি। সাইফুর রহমান জমানা থেকে দলের অভ্যন্তরের কোন্দল ছিল বেশি। এরপর ইলিয়াস আলীর শাসনের সময়ও কোন্দল মেটানো সম্ভব হয়নি। তবে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় বাইরে বিএনপির সিলেট অঞ্চলের নেতারা নিজেদের তাগিদে এখন এক হচ্ছেন। আর এক হওয়ার মুহূর্তে জোবায়দা রহমানকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। দক্ষিণ সুরমার সন্তান জোবায়দা রহমান। তাকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখাচ্ছেন দক্ষিণ সুরমা নেতারা। একই সঙ্গে সিলেট বিএনপির নেতাদের কাছেও তাকে নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই। কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন- তারেক রহমান হচ্ছে বিএনপির আগামী দিনের কান্ডারী। এ কারণে তার সহধর্মিণী জোবায়দা রহমান সিলেট বিএনপির নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠতে পারেন। অপেক্ষায় না থেকে দলকে আরো গতিশীল করতে তারা এখন থেকেই জোবায়দাকে চান সিলেটের নেতৃত্বে। জোবায়দা নেতৃত্বে এলে সিলেটে বিএনপি আরো দ্বিগুণ গতি পাবে বলে জানান তারা। সিলেটের দেয়ালে দেয়ালে শোভা পাচ্ছে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রীর ছবি সংবলিত পোস্টার। ‘ডা. জোবায়দা রহমানকে সিলেট-১ আসনে এমপি হিসেবে দেখতে চাই’Ñ সেøাগানে সিলেটে সম্প্রতি পোস্টারিং করেছেন সাবেক মেয়র প্রার্থী ও যুবদল নেতা মো. সালাহউদ্দিন রিমন। তার পোস্টারিং সিলেটে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। রিমন জানিয়েছেন- সিলেট বিএনপি এখন অনেকটা অভিভাবক সংকটে। এই সংকট কাটাতে হলে এখনই ডা. জোবায়দা রহমানকে ভোটের রাজনীতির মাধ্যমে মাঠে নামানো প্রয়োজন। জোবায়দা সিলেটের রাজনীতিতে নামলে সিলেট বিএনপিতে কোনো কোন্দলের আশঙ্কা থাকবে না। এ কারণে তিনি পোস্টারিং করেছেন বলে জানান। এছাড়া- দক্ষিণ সুরমা বিএনপির সিনিয়র নেতা তাজরুল ইসলাম তাজুলও পোস্টারিং করেছেন। এর পাশাপাশি বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতারা এ পোস্টারিংয়ে অংশ নিয়েছেন। সিলেট-১ আসনে এই মুহূর্তে প্রকাশ্যে প্রার্থী খন্দকার আবদুল মুক্তাদির। তিনি বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা। সিলেটে বিএনপির দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে এমএ হক ও খন্দকার আবদুল মুক্তাদির। সিলেট বিএনপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা খন্দকার আবদুল মালিক। তার ছেলে খন্দকার আবদুল মুক্তাদির। তিনি সিলেটের বনেদি পরিবারের সন্তান। তবে- জোবায়দা রহমানের প্রতিদ্বন্দ্বী নন তিনি। মুক্তাদিরের সমর্থকরা জানিয়েছেন- জোবায়দা রহমান সিলেটের রাজনীতিতে নামলে তারা স্বাগত জানাবেন। তাকে ঘিরেই সিলেট বিএনপির রাজনীতি দলাদলিমুক্তভাবে কার্যক্রম চালাবে। মর্যাদাপূর্ণ সিলেট-১ আসন। রাজনীতিতে এ আসন যার ক্ষমতা তার। এ আসন থেকে বিএনপির এমপি হয়েছিলেন সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম সাইফুর রহমান।