গিনা স্টিওয়ার্ট (৪৭)। তাকে বলা হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে হট গ্রান্ডমাদার। তার রয়েছে চারটি সন্তান। তাদের বয়স ২৭ বছর থেকে শুরু করে ৪ বছর পর্যন্ত। রয়েছে একটি নাতি বা নাতনী। এ বয়সে এসে তিনি কাঁপিয়ে দিচ্ছেন টগবগে সব যুবতীদের।
কারণ, তার কাছে পাত্তাই পাচ্ছেন না অষ্টাদশীরা। গিনা স্টিওয়ার্টের বয়স ৪৭ বছর, এতগুলো ছেলেপুলের মা হওয়া সত্ত্বেও মুখে বা শরীরের কোথাও বলিরেখার ছাপ নেই। যেকেউ তাকে এক নজর দেখলে বলে দেবেন তিনি এখনও অষ্টাদশীতে আছেন। অস্ট্রেলিয়ায় হচ্ছে মিস ম্যাক্সিম অস্ট্রেলিয়া ২০১৮ প্রতিযোগিতা। সেই প্রতিযোগিতায় রয়েছেন অষ্টাদশী সব শীর্ষ মডেলরা। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতায় নেমেছেন এই গিনা স্টিওয়ার্ট। তাকে দেখে যে কেউ বিস্মিত হয়ে যাবেন- কি করে এভাবে শরীরকে ধরে রাখা সম্ভব! গ্রান্ডমাদার গিনা স্টিওয়ার্ট নিজেই এই গোপনীয়তা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, কখনো তিনি রাসায়নিক বস্তুর মিশ্রণ আছে এমন কিছুই ব্যবহার করেন নি। আগে থেকে বোতলজাত পানি কখনো তিনি পান করেন নি। তার ভাষায়, আমি শুধু এলকালাইন সমৃদ্ধ পানি পান করি। এতে প্রচুর পরিমাণে খনিজ লবণ থাকে। গিনা বলেছেন, তিনি পান করেন ওইসব পানি যা বাইস্ফেনোল-এ (বিপিএ) মুক্ত। এ উপাদানটি পাওয়া যায় বোতলজাত পানিতে। তার মতে, এতে মানুষের শরীরে নানাবিধ সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। সৃষ্টি হতে পারে সুনির্দিষ্ট কিছু ক্যান্সার। কমিয়ে দেয় উর্বরতা। সন্তান জন্মের ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দেয়। সৃষ্টি করে ডায়াবেটিক। তাই গিনা স্টিওয়ার্টের মতে বিপিএমুক্ত পানি পান করা নিরাপদ। ম্যাক্রো অর্গানিক নারকেল তেল হলো তার চুলের পণ্য। এর সঙ্গে কিছু ময়েশ্চারাইজার মিশ্রিত করেন। দাম পড়ে ৫ ডলার। তবে সবটাই হয় অর্গানিক ভিত্তিতে। এতে রাসায়নিক উপাদানের বালাই থাকে না। গিনা স্টিওয়ার্ট তার রূপ ধরে রাখার গোপন কথা বলেন এভাবেÑ আমার আরেকটা গোপন অস্্রত হলো রোজহিপ তেল। আমি কসম করে বলতে পারি, এটা হলো বয়স বাড়ার চিহ্ন কমিয়ে দেয়ার জন্য উত্তম উপাদান। তাই আমি যা করি তাহলো প্রথমে আমি মুখ পরিষ্কার করি। তারপর এটি আমার মুখে ও শরীরে নিয়মিত মাখি। এ ছাড়া তিনি বগলে ব্যবহার করেন প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি ডিওডোরেন্ট, এর কার্যকারিতা অব্যাহত থাকে সারা দিন। এখন তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মিস ম্যাক্সিমা অস্ট্রেলিয়া। শুক্রবার এর চূড়ান্ত পর্ব। তিনি কি বয়সকে পিছনে ফেলে অষ্টাদশীদের নকআউট করে মুকুট পরতে পারবেন? এমন প্রশ্ন অনেকের। যদি তিনি পারেন বলতে হবে, অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন তিনি। এমনিতেই ইন্সটাগ্রামে তার অনুসারীর সংখ্যা কমপক্ষে ৬৬ হাজার। এর ওপর ওই খেতাব জুটলে তো তার পিছনে মানুষের ঢল নেমে যাবে। ডেইলি মেইল অস্ট্রেলিয়াকে তিনি বলেছেন, ৪৬ বছর বয়সে তিনি দাদী অথবা নানী হয়েছেন। এখন তার ১০ মাস বয়সী একটি নাতি অথবা নাতনি রয়েছে। শরীরের উপরের অংশের গঠন কিভাবে তিনি ধরে রেখেছেন তা নিয়েও আগ্রহ আছে। এ প্রসঙ্গে গিনা বলেন, সিরিয়াসলি বলছি প্রত্যেকটা নারীই সুন্দরী। আমি শুধু বলতে চাইছি নারীরা যেন একজন থেকে আরেকজনকে আলাদা করে দেখার চেষ্টা না করেন। এসব নিয়ে বিচার বিবেচনার জন্য জীবন খুবই স্বল্প স্থায়ী। আপনি আপনার বয়সে উপভোগ করুন। আপনার শরীরে যে কার্ভ আছে তার যতœ নিন। এই প্রতিযোগিতায় যদি তিনি বিজয়ী হন তাহলে পুরস্কারের অর্থ থেকে ১০ হাজার ডলার একজন বন্ধুকে দান করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন গিনা। তার ওই বন্ধুটি স্ট্রোক করেছেন।