আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কোনো সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ছাত্রলীগ চলবে না, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও শেখ হাসিনার নির্দেশে ছাত্রলীগ চলবে বলে মন্তব্য করেছেন । তিনি বলেন, কারো পকেটের লোক দিয়ে ছাত্রলীগে নেতা হবে না। টাকা পয়সার কর্মী থাকবে না, আদর্শের কর্মী থাকবে। জবরদস্তি করে অযোগ্যকে নেতা বানাবেন, দুঃসময়ে হাজার পাওয়ারের বাতি জ¦ালিয়েও তাদেরকে খোঁজে পাওয়া যাবে না। সহসী, মেধাবী, চরিত্রবান নেতাই সংগঠনের সর্বস্তরে ঠাঁই পাবে। কোনো অনুপ্রবেশকারী পরগাছা যেন পার্টির নেতৃত্বে আসতে না পারে।
এসময় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কারাগারে থাকলে জেলকোড আছে, অসুস্থতার চিকিৎসা আছে, তিনি অসুস্থ হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষ তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নিবে। এখানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কাগজপত্র কেন যাবে। তারা (বিএনপি) মিথ্যার উপর ভর করে রাজনীতি করে। জেল কর্তৃপক্ষ আছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় আছে, এমন একটা ভাব যেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কাগজপত্র গেছে, তিনি সই করলেই তাদের উদ্দেশ্য সফল হয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী সই করলে কি তিনি সুস্থ হয়ে যাবেন? তিনি অসুস্থ কিনা সেটা চিকিৎসকরা বলতে পারবেন। তিনি বলেন, চিকিৎসকতো আবার জাতীয়তাবাদী চিকিৎসকও আছেন। জাতীয়তাবাদী চিকিৎসকরা যখন সার্টিফিকেট দিবেন তখনতো এ ব্যপারে সন্দেহ থাকা স্বাভাবিক। তারা প্রকৃত চিত্রটা না বলে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত দিয়ে দেবেন। সত্যিকারের চিত্র যথাযথ কর্তৃপক্ষ যথাযথভাবে তুলে ধরবেন। এ ব্যপারে সরকার অমানবিক হবে না। শেখ হাসিনার সরকার অমানবিক সরকার নয়। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, কারাগারে আছেন আদালতের সিদ্ধান্তে, অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের সিদ্ধান্তে না। কিন্তু এটা নিয়ে বিএনপি নোংরা রাজনীতি করছে, যেন সরকার মামলা দিয়েছে, সরকার রায় দিয়েছে এমন একটা ভাব। আমরা তাকে দ-ও দেইনি, দ- থেকে মুক্তিও দিতে পারব না। এসময় ঢাবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স বলেন, আমরা ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় ছাত্রলীগকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাতারে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। আমরা প্রতিটি বিভাগ, ইনিষ্টিটিউশনে কমিটি দিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছি। বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যেন নিজেদের সর্বোচ্চ মেধা ছাত্রদের জন্য খরচ করতে পারে, সেজন্য সন্ধ্যকালীন বাণিজ্যিক কোর্স বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়ার জন্য সেতুমন্ত্রীর প্রতি জোর দাবি করেন।