পুলিশ বরিশালের উজিরপুর উপজেলা থেকে পৃথক ঘটনায় নিহত দুই মাদ্রাসাছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে । এর মধ্যে একটি হত্যাকাণ্ড ও অপরটি আত্মহত্যার ঘটনা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় সাইম বিশ্বাস নামে ১১ বছর বয়সের ওই শিশু একটি দামি অ্যান্ড্রয়েড সেটসহ নিখোঁজ হয়। পরে শনিবার বেলা ১১টার দিকে সাতলা বাজারের সান্টু ও রহিমের মালিকানাধীন দোতলা ভবনের ছাদে তার রক্তাক্ত মরদেহ খুঁজে পান শিশুটির বড় বোন নুবানা বিশ্বাস। খবর পেয়ে পুলিশ শিশুটির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল মর্গে প্রেরণ করে।
নিহত সাইম বিশ্বাস (নাইম) উত্তর সাতলা এলাকার মোশারেফ বিশ্বাসের ছেলে এবং স্থানীয় সাইদিয়া কওমি মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিশির কুমার পাল জানান, ঘটনাস্থলে শিশুটির স্যান্ডেল ও জামা-কাপড় জব্দ করা হয়েছে। ওই ঘটনার পর থেকে ওই মুঠোফোনের সিমটি বন্ধ রয়েছে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তকে শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে ওসি জানান।
তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শিশুটির দামি সেটটি দেখে লোভ হয় অজ্ঞাত কোন দুস্কৃতিকারীর। পরে শিশুটিকে ফুসলিয়ে সাতলা বাজারের মো. সান্টু ও রহিম বিশ্বাসের মালিকানাধীন দোতালা ভবনের ছাদে নিয়ে যায় তারা। সেখানে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মুঠোফোনটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
অপরদিকে উপজেলার দক্ষিণ সাতলা এলাকা থেকে মোমিন মোল্লা নামে ১০ বছরের এক শিশুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মৃত মোমিন মোল্লা পিরোজপুরের নাজিরপুরের হায়দার মোল্লার ছেলে ও সাতলা এলাকায় ইসলামিয়া কওমি মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্র।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাহায্য চাওয়ার জন্য সকালে মাদ্রাসার অন্য ছাত্ররা বাইরে বেরিয়ে যায়। এসময় মোমিন বের হতে চাইলে তাকে যেতে বারণ করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মাদ্রাসার পেছনের টিনের একটি ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে সে।
উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিশির কুমার পাল এ খবর নিশ্চিত করেন।