পুলিশ এক তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে বরিশাল নগরীর কাশিপুরে কলেজ পড়ুয়া। শুক্রবার  দুপুর ১টার দিকে নগরীর মথুরানাথ পাবলিক স্কুল সড়কের সিকদার ভিলা নামে একটি ছাত্রাবাসে তাকে ধর্ষণ করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ওই ছাত্রাবাস থেকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করে।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিকালে তাৎক্ষণিক ওই ছাত্রাবাসের বাসিন্দা বিএম কলেজের মার্কেটিং বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র ও বাকেরগঞ্জের পাদ্রীশিবপুর ইউনিয়নের জামাল হাওলাদারের ছেলে সাইফুল ইসলাম সজিবকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। পরে অভিযান চালিয়ে ঘটনার মূল হোতা বিএম কলেজ এলাকার মৃত বাবুল মল্লিকের ছেলে রাব্বি মল্লিক এবং এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত মানিক নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার এসএম রুহুল আমীন জানান, ওই কলেজছাত্রী পাঠ্য বিষয়ের নোট আনতে সকালে বিএম কলেজের সামনে তার বন্ধু সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইমতিয়াজের ছাত্রাবাসে যায়। এ সময় স্থানীয় বখাটে রাব্বী মল্লিক তাদের জিম্মি করে মেয়েটিকে জোরপূর্বক মথুরানাথ পাবলিক স্কুল সড়কের হানিফ সিকদারের মালিকানাধীন সিকদার ভিলা নামের ছাত্রাবাসে  নিয়ে যায়। সেখানে সজিবের কক্ষে নিয়ে চেতনানাশক খাইয়ে ধর্ষণ করেন রাব্বী। পরে রাব্বী ওই ছাত্রীকে সজিবের জিম্মায় রেখে পালিয়ে গেলে পরে সজিবও তাকে ধর্ষণ করেন। এর আগে সহপাঠী বান্ধবীকে জোরপূর্বক তুলে নেয়ার খবর পুলিশকে জানায় ইমতিয়াজ। খবর পেয়ে পুলিশ  ধর্ষিতাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে।

পুলিশ কমিশনার জানান, এই ঘটনার মূল হোতা রাব্বি মল্লিক পুলিশের তালিকাভুক্ত একজন চিহ্নিত আসামি।

বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. আওলাদ হোসেন জানান, সজীবকে গ্রেপ্তারের পরপরই সাঁড়াশি অভিযানে নামে পুলিশ। এই অভিযানে মূল হোতা রাব্বি ও তার সহযোগী মানিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এদিকে বিএম কলেজ এলাকার একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, রাব্বি মল্লিক বিএম কলেজ এলাকার ছিনতাই কর্মকাণ্ডে জড়িত। তার বাড়ি বিএম কলেজের সামনে হওয়ার সুবাদে তিনি বিএম কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের জিম্মি করে নানা সময় অর্থ আদায় থেকে শুরু বিভিন্ন অপকর্ম করতেন। তার বিরুদ্ধে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া তিনি বরিশালের একজন চিহ্নিত ছিনতাইকারী হিসেবেই পুলিশের কাছে বেশী পরিচিত। গ্রেপ্তারকৃত অপর আসামি সাইফুল ইসলাম সজীব ২০নং ওয়ার্ড এলাকার চিহ্নিত ইয়াবা বিক্রেতা। তার বিরুদ্ধেও স্থানীয় সূত্রে পাওয়া গেছে নানা অভিযোগ।

পুলিশ কমিশনার এস এম রুহুল আমীন জানান, ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর অবস্থা বর্তমানে তেমন ভালো নয়। মনে হচ্ছে ধর্ষকরা এই ছাত্রীকে কিছু খাইয়ে ধর্ষণ করেছে। তিনি ঠিকমত কথা বলতে পারছেন না। মোটামুটি সুস্থ হওয়ার পর আরও বিস্তারিতভাবে জানা যাবে।

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031