সৌদি আরব এক হাজার কোটি ডলার বৈদেশিক ঋণ নিতে যাচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারী দেশ । বিশ্ববাজারে তেলের দাম পড়ে যাওয়ায় রাজস্ব ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে এ ঋণ নিচ্ছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং এশিয়ার ব্যাংকগুলো থেকে অর্থ ধার করছে দেশটি।
বুধবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর প্রকাশ করেছে। নিজস্ব সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, সৌদি আরব প্রথমে ছয়শ থেকে আটশ কোটি ডলার ঋণ নেয়ার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু বাড়তে থাকা চাহিদার কারণে সৌদি আরবের অর্থ মন্ত্রণালয় ঋণের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।
গত ১৫ বছরের মধ্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে বৈদেশিক ঋণ নেওয়ার ঘটনা সৌদি আরবের জন্য এটিই প্রথম। গেল বছর দেশটির তেল রপ্তানি আয় ২৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য বৈদেশিক ঋণের দিকে ঝুঁকেছে দেশটি।
রয়টার্সের সূত্রগুলো জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, জাপানি ব্যাংকগুলো সৌদি আরবকে এ ঋণ দিচ্ছে। এদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ১৩০ কোটি ডলার করে ঋণ নিচ্ছে সৌদি আরব। পাঁচ বছরের জন্য এ ঋণ নেওয়া হবে। চলতি মাসের শেষের দিকে ব্যাংকগুলোর সঙ্গে ঋণ চুক্তিটি চূড়ান্ত করা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই ঋণ গ্রহণে অভ্যন্তরীণ ব্যাংকগুলোর উপর সৌদি আরবের নির্ভরতা কমে আসবে।
রাজস্ব ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে বিকল্প অর্থের সন্ধান করছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। বৈদেশিক ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ বাজারে বন্ড ছেড়ে তিনশো কোটি ডলার সংগ্রহের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন তারা। রাজস্ব ঘাটতির কারণে বিদ্যুৎ, পানি ও অন্যান্য সেবা খাতে ভর্তুকি কমিয়েছে সৌদি আরব।
এছাড়া কয়েকটি বড় বড় ধরণের প্রকল্প ও বেসরকারিকরণ উদ্যোগে ভাটা পড়েছে। তেলের মূল্য পড়ে যাওয়ায় পারস্য উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর অনেকেই বিদেশি ঋণ নিতে বাধ্য হচ্ছে। চলতি বছরের কাতার সাড়ে পাঁচশো কোটি ডলার বিদেশি ঋণ নেয়। ওমান নেয় একশো কোটি ডলার। সূত্র: রয়টার্স