আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবউল আলম হানিফ দেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করতে জঙ্গিরা তৎপর বলে মন্তব্য করেছেন । তিনি বলেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াতের ছত্রছায়ায় তারা (জঙ্গি) এখনো সক্রিয় আছে। দেশের অগ্রযাত্রা এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করতে তৎপর তারা।’
শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুদুয়ারা নানকশাহীতে শিখদের এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় গেলে দেশ উগ্র মৌলবাদী রাষ্ট্রে পরিণত হবে এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘২০০১ সালে চারদলীয় জোট সরকারের সময় দেশে মৌলবাদের উত্থান হয়। ওইসময় সারাদেশে জঙ্গিগোষ্ঠী বোমা হামলা করে দেশকে একরকম অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করে। বিএনপি-জামায়াতের ছত্রছায়ায় তারা এখনো সক্রিয় আছে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হানিফ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে সব ধর্মের মানুষই নিরাপদ থাকে। নিজেদের স্বাধীন মতো তারা ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করতে পারে। কারণ আমরা সব ধর্মের সহাবস্থানে বিশ্বাস করি। কিন্তু বিএনপি-জামায়াতের সময় অন্য ধর্মাবলম্বীদের উপর ব্যাপক অত্যাচার নির্যাতন ও জুলুম হয়েছিল। তবে তারা যে অপকর্ম করেছিল তার শাস্তিও আজ পাচ্ছে।’
আলোচনায় এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজা পেয়ে কারাগারে থাকা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়েও কথা বলেন হানিফ। তিনি বলেন, ‘এতিমের টাকা আত্মসাৎ করায় খালেদা জিয়া কারাভোগ করছেন। আমাদের ধর্মের বিধান আছে প্রত্যেক মানুষের কর্মের বিচার হবে। কেউ বিচারের ঊর্দ্ধে থাকবে না। আজ খালেদা জিয়ার বিচার হয়েছে। পরকালেও তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে মন্তব্য করে হানিফ বলেন, ‘চারদলীয় জোট সরকারের সময় ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে ফাটল ধরে। দেশে উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর উত্থান ঘটিয়ে বিএনপি-জামায়াত পরিকল্পিতভাবে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নষ্ট করে ফেলে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় আজ সেই সম্পর্ক সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। এ সম্পর্ক নষ্ট হবার নয়।
এ সময় শিখ ধর্মীয় নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।