এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রথমবারের মত ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন ২০১৮ আয়োজন করেছে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম পরিবর্তনের জন্য উদ্যোগের মাধ্যমে মানবতার প্রচার’ । বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে দেশের প্রায় ৩০ টিরও অধিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের ২০০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে তিনদিন ব্যাপি এই সম্মেলনের পর্দা উঠে ১৮ এপ্রিল সকাল ১০.০০ টায়।
১৮– ২০ এপ্রিল পর্যন্ত তিনদিনের এই সম্মেলন মূলত জাতিসংঘ অধিবেশনের একটি প্রতীকী উপস্থাপনা। যেখানে শিক্ষার্থীরা হাজির হন একেকজন কূটনীতিকের ভূমিকায়। জাতিসংঘের আদলে আয়োজিত এই সম্মেলনে কোন একটি বৈশ্বিক সমস্যাকে সামনে রেখে নিজের দেশের ভাবনাগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেন শিক্ষার্থীরা। সেই সাথে নিজ দেশের মূলনীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে সেসকল সমস্যার সমাধান খোঁজার চেষ্টায় ব্যস্ত থাকেন তারা।প্রথমবারের মতই আয়োজিত এই সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় এর উপর ভিত্তি করে পুরো পৃথিবীতে মানবতার মত একটি বিষয় কতটুকু বিরাজ করছে এই নিয়ে তর্ক–বিতর্ক এবং আলাপ আলোচনা চলবে পুরো সম্মেলন ব্যাপী।
সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম এর উপ–উপাচার্য প্রফেসর ডঃ মোহাম্মদ দেলওয়ার হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. এম কাউসার আহমেদ, রেজিষ্টার কর্নেল মোহাম্মদ কাশেম, স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ার্স ডিভিশানের পরিচালক আ.জ.ম ওবায়দুল্লাহ এবং র্যাংগস এফসি প্রপার্টিজ এর প্রধান নির্বাহী তানভীর শাহরিয়ার রিমন সহ বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক যারা কথা বলেছেন ছায়া জাতিসংঘের ভবিষ্যত, নেতৃত্ব এবং অর্জনের বিষয় নিয়ে। এছাড়া উপ উপাচার্য সহ সকল অথিতিদের আশাবাদ এরকম উদীয়মান কূটনীতিকেরাই একদিন জাতিসংঘের মুল অধিবেশনে আমাদের দেশকে নেতৃত্ব দিবেন। উপ উপাচার্য তার বক্তব্যে দেশের প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে গিয়ে বলেন, এদেশকে এমন একটি প্রজন্ম তৈরী করতে হবে যারা প্রস্তুত থাকবে যে কোন পরিস্থিতিতে দেশকে নেতৃত্ব দেয়ার। এটাই হবে প্রাপ্তির এমন একটি সম্মেলনের।এছাড়াও কথা বলেছেন আইআইইউসি মডেল ইউনাইটেড নেশানস্ ক্লাবের সভাপতি মো. আজিম উদ্দিন চৌধূরী।
১৮–২০ এপ্রিল পর্যন্ত তিনদিন ব্যাপি চলবে এই সম্মেলন।