আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের একাংশের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’ তিন দফা দাবিতে সপ্তাহ ব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের । আজ বুধবার বিকাল সাড়ে ৪টায় কলা ও মানবিক অনুষদের ১১৯ নং কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে কর্মসূচির ঘোষণা করেন সংগঠনটির মুখপাত্র সহযোগী অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ।
গত মঙ্গলবার আওয়ামীপন্থী এই গ্রুপের শিক্ষকরা সর্বত্মক ধর্মঘট পালনকালে উপাচার্যপন্থী শিক্ষকদের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয় গ্রুপের অন্তত ৮শিক্ষক লাঞ্ছিত হয়েছে বলে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’ সুষ্ঠু বিচার, প্রক্টরিয়াল বডির পদত্যাগ দাবি ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিয়ম না মেনে কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ এনে আজ বৃহস্পতিবার থেকে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে। কর্মসূচি হলো- বৃহস্পতিবার, রবিবার ও সোমবার; শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী সংগঠনের সাথে আলোচন ও মতবিনিময়, মঙ্গলবার; উপাচার্যের অফিসের সামনে কালো পতাকা প্রদর্শন, বুধবার; উপাচার্যের অফিসের সামনে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি এবং বৃহস্পতিবারের মধ্যে দাবি আদায় না হলে সংবাদ সম্মেলন করে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা। গতকাল দুপুর ১২টায় এই সংগঠনের ব্যানারে একই দাবিতে কালো ব্যাচ ধারণ করে মানববন্ধন করা হয়েছে। তবে এ আন্দোলন অযৌক্তিক ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত দাবি করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বলেন, তারা যে দাবিতে আন্দোলন করছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
এদিকে গতকাল বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান অডিটোরিয়ামের সেমিনার কক্ষে শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সেখানে ভিসি বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রেখে সেশনজট মুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। আলোচনা সভায় বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ২৫০জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের একাংশের সর্বাত্মক অবস্থন ধর্মঘটের সময় ভিসিপন্থী ও সাবেক ভিসি শরীফ এনামুল কবির পন্থী শিক্ষকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় উভয় পক্ষের ৮ শিক্ষক লাঞ্ছিত হয়। এ ঘটনায় উভয় গ্রুপ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করেছে।