শ্রমবাজার খুলে যাচ্ছে সংযুক্ত আরব-আমিরাতের । প্রাথমিকভাবে ১৯ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশি কর্মী নেবে দেশটি। এ লক্ষ্যে উভয় দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। আজ বুধবার আরব-আমিরাতের দুবাইয়ে স্থানীয় সময় দুপুর সোয়া ১২ টায় দেশটির মিনিস্ট্রি অব হিউম্যান রিসোর্সেস এন্ড এমিরেটাইজেশন-এর আন্ডার সেক্রেটারী সাইফ আহমেদ আল সুআইদি ও বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নমিতা হালদার এনডিসি স্মারকটি স্বাক্ষর করেন। গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানা যায়।
এতে আরো জানানো হয়, বিগত কয়েক মাসের আলাপ আলোচনার চূড়ান্ত পর্যায়ে দুবাইস্থ সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনিস্ট্রি অব হিউম্যান রিসোর্সেস এন্ড এমিরেটাইজেশন-এর দপ্তরে উভয় দেশের মধ্যে শেষ পর্যায়ের আলাপ আলোচনার পর সমঝোতা স্মারকটি চূড়ান্ত করা হয়।
উভয় দেশের আগ্রহ ও সম্মতির ভিত্তিতে এটি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ সময় সংযুক্ত আরব আমিরাতের মিনিস্ট্রি অব হিউম্যান রিসোর্সেস এন্ড এমিরেটাইজেশন-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী নাসের আল হামলি উপস্থিত ছিলেন। সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরের সঙ্গে সঙ্গেই কার্যকর হয়েছে প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। সমঝোতা স্মারকটিতে বাংলাদেশ থেকে ১৯টি ক্যাটাগরির কর্মী নিয়োগের বিধান, পদ্ধতি, রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি ও উভয় দেশের সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য, কর্মীদের অধিকার, সুযোগ সবিধা, এমপ্লয়ারদের দায়িত্ব ও কর্তব্য, নিয়োগ চুক্তির বিধান ও পৃথক একটি বিরোধ নিষ্পত্তির ব্যবস্থা ইত্যাদি উল্লেখ রয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে এ সকল কর্মীগণের স্বার্থ রক্ষার্থে ২০১৭ সালে কার্যকর হওয়া আইনের আলোকে সমঝোতা স্মারকটিতে শ্রমিক, মালিক ও উভয় দেশের সরকারের দায়িত্ব বর্ণিত হয়েছে। নিরাপদ, সুশৃংখল ও দায়িত্বশীল শ্রম অভিবাসনের লক্ষ্য অর্জনের বিষয়সমূহ বিবেচনায় রেখে সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষর করা হয়। সমঝোতা স্মারকটি বাস্তবায়নের জন্য উভয় দেশের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি জয়েন্ট কমিটি গঠনের বিধান রাখা হয়েছে। এ কমিটিকে কতিপয় সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। এ সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশী কর্মী প্রেরণ প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু হবে।