মেধাবীরা এগিয়ে যেতে পারছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার সরকারের আমলে দেশে মেধা বিকাশের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এছাড়া, দেশে নারী শিক্ষার প্রসার ঘটেছে। প্রাথমিক শিক্ষা বৃত্তি ট্রাস্টের উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ট্রাস্ট কমিটির এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তার সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে জাতির জনকের যে স্বপ্ন ছিলো তা বাস্তবায়ন করে চলেছে। সভা শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে জানান, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন শিক্ষাকে সার্বজনীন করে তোলাই তার সরকারের লক্ষ্য। কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে এক্ষেত্রে তার সরকারের নেওয়া বিভিন্ন কর্মসূচির কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষায় উৎসাহ দেওয়ার লক্ষ্যে বর্তমানে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি উচ্চশিক্ষায়ও বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। নারী শিক্ষার বিস্তারেও উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের পর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে জাতির জনক সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন শিক্ষাকে। প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় তার সরকার ক্ষমতায় এসে ১৯৯৬ সালে আর পরবর্তী সময়ে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। দরিদ্র ও মেধাবীদের শিক্ষা সহায়তা দেওয়ার লক্ষ্যে এক হাজার কোটি টাকা সিড মানি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে পাঁচ বছরে দেশে স্বাক্ষরতার হার ৪৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ শতাংশ করে। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে তা ফের আগের অবস্থায় নিয়ে যায়। আর ২০০৯ সালে আবার ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে ফের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা সহায়তা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ নিশ্চিতের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মুস্তাফিজুর রহমান ফিজার, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব আবুল কালাম আজাদসহ সংশ্লিষ্ট সিনিয়র সচিব ও সচিবরা এই সভায় উপস্থিত ছিলেন।
M | T | W | T | F | S | S |
---|---|---|---|---|---|---|
1 | ||||||
2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 | 8 |
9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 | 15 |
16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 | 22 |
23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 | 29 |
30 | 31 |