দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মালামাল ক্রয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ আতœসাতের দুই মামলায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সন্দীপন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে
আজ সোমবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে বন্দর ভবন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর উপ-পরিচালক লুৎফুল কবির চন্দন।
তিনি জানান, বিভিন্ন সময় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের মালামাল ক্রয়ে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ আতœসাৎ করেন উপ-প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সন্দীপন চৌধুরী। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠার পর বিষয়টি তদন্ত করে অর্থ আতœসাতের বিষয়টি নিশ্চিত হয় দুদক।
ফলে আজ সোমবার দুপুরে দুদকের একটি টিম বন্দর ভবনে অভিযান চালিয়ে সন্দীপন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে দুদক কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। এরপর আইনি প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি পণ্য ক্রয় করায় চট্টগ্রাম বন্দরের ছয় কর্মকর্তাসহ নয়জনের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ২৩ অক্টোবর পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
প্রথম মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন মেসার্স জনতা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আবদুল্লাহ আল নাহিয়ান, চট্টগ্রাম বন্দরের নৌ প্রকৌশল বিভাগের উপ-প্রধান প্রকৌশলী (মেরিন) খোরশেদ আলম, নির্বাহী প্রকৌশলী (মেরিন) আমিনুল ইসলাম, অর্থ ও হিসাব বিভাগের উপ-প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সন্দীপন চৌধুরী ও নৌ বিভাগের সহকারী হারবার মাস্টার (অপারেশন) নুর আহম্মদ।
দ্বিতীয় মামলায় শাহ আমানত ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ওয়ার্কশপের স্বত্বাধিকারী আরিফুর রহমান ভূঁইয়া ও প্রথম মামলার বন্দরের চার কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে। তৃতীয় মামলায় চট্টগ্রাম বন্দরের ওয়ার্কশপ ম্যানেজার এসএম শাহজাহান, সহকারী কারখানা অধিক্ষক-২ আবদুর রাজ্জাক ও প্রথম মামলার পাঁচ জনসহ মোট সাতজনকে আসামি করা হয়।
মামলার বাদী শহিদুল আলম সরকার জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের নৌ বন্দর কর্তৃপক্ষের জন্য দরপত্রের মাধ্যমে জাহাজের টারবো চার্জার, এক্সজাস্ট মেনিপোল্ট ও এভিআর ক্রয়ের কথা। কিন্তু তারা পরস্পর যোগসাজশের মাধ্যমে অনিয়ম করে এসব পণ্য কিনেছেন। তাই তাদের বিরুদ্ধে তিনটি পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।