বনবিভাগ সুন্দরবনের ভেতরে মংলা বন্দরের হারবাড়িয়া এলাকায় কয়লা বোঝাই লাইটার জাহাজ ডুবির ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে । এক সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটিকে যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
জাহাজ ডুবির ঘটনায় পরিবেশবাদীরা পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ ও আমদানিকারদের দাবি কয়লা নিয়ে ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজের কোন কয়লাই বাইরে ছড়িয়ে পড়তে পারেনি। তাই এতে পরিবেশের কোন ক্ষতির আশঙ্কা নেই।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মাহমুদুল হাসান রাতে ঢাকাটাইমসকে বলেন, সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের পশুর নদের চাঁদপাই রেঞ্জের হারবাড়িয়া এলাকায় কয়লা বোঝাই লাইটার জাহাজ ডুবির ঘটনায় এক সদসস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. শাহীন কবির জাহাজ ডুবির কারণ ও কয়লায় পরিবেশের কি ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে তা পর্যবেক্ষণ করে যতদ্রুত সম্ভব একটি প্রতিবেদন দেবেন।তার প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।
এদিকে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হামবার মাস্টার মো. ওয়ালিউল্লাহ বলেন, কয়লা বোঝাই লাইটার জাহাজ ডুবির পর তাতে থাকা কয়লা যাতে পশুর নদীতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাই পরিবেশ বিপর্যয়ের সম্ভববনা খুবই কম। বন্দর চ্যানেল স্বাভাবিক রয়েছে। এতে বন্দরে জাহাজ আগমন নির্গমনে কোন বাধার সৃষ্টি হচ্ছে না। ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজটিকে তুলতে আমদানিকারকদের বলা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের বাগেরহাট কার্যালয় সহকারী পরিচালক (এডি) মো. এমদাদুল হক বলেন, কয়লা চার ধরনের হয়ে থাকে। আগামীকাল সোমবার সকালে পরিবেশ বিভাগের একটি বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাবেন। সেখানে গিয়ে তারা পানি ও কয়লা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষাগারে পাঠাবে। পরীক্ষার পরেই বলা যাবে এতে পরিবেশের ক্ষতি হবে কি হবে না।
রবিবার ভোর তিনটার দিকে সুন্দরবনের ভেতরে হারবাড়িয়া এলাকায় ৭৭৫ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে এমভি বিলাস নামে একটি লাইটার জাহাজ ডুবে যায়।