বিজেপি দলীয় একজন এমএলএ বানওয়ারি লাল সিঙ্গাল ভারতে হিন্দু-মুসলিম বিরোধ উস্কে দেয়ার চেষ্টা করেছেন । রাজস্থানের এই এমএলএ হিন্দুদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা যেনো কোনো মুসলিমকে তাদের বাড়িতে প্রবেশ করতে না দেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া। সোমবার এই পত্রিকাকে ওই এমএলএ বলেছেন, মুসলিমরা স্বভাবতই সব রকম অপরাধের সঙ্গে জড়িত। তাই তিনি নিজের বাড়ি, অফিসে কোন মুসলিমের প্রবেশ অনুমোদন করেন না। এমনকি মুসলিমদের ভোটও তিনি চান না।
তিনি বলেছেন, মুসলিমরা বিজেপিকে ভোট দেয় না। আমি তাদের কাছে ভোট চাইতেও যাই না। তাদের কাছে ভোট চাওয়ার অর্থই হলো তারা স্বভাবতই যেসব অপরাধ করে থাকে সেই অপরাধের দায় থেকে তাদেরকে সরে আসতে সহায়তা করা। মুসলিমদের কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্ব সব সময়ই আমি বজায় রাখি এবং এটাই হলো তার প্রধান কারণ। উল্লেখ্য, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের সঙ্গে অতীতে সম্পর্ক ছিল বিজেপি দলীয় এই এমএলএর। তাদের অভিযোগ, মুসলিমরা গরু হত্যা, ‘লাভ জিহাদ’দের মতো অপরাধে জড়িত। তারা ভুয়া পরিচয়পত্র তৈরি করে। প্রতারণা করে। টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, এ বছর জানুয়ারিতে রাজস্থানের আলওয়ার আসনে উপনির্বাচনে পরাজিত হয় বিজেপি। এরপর থেকেই এমন বিতর্কিত মন্তব্য করেই যাচ্ছেন বিজেপির এই এমএলএ। রোববার আলওয়া এলাকায় নিজস্ব সম্প্রদায়ের সঙ্গে কথা বলেন বানওয়ারি লাল সিঙ্গাল। এ সময়েই তিনি কোনো প্ররোচণা ছাড়াই মুসলিম বিরোধী বক্তব্য দেন। এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চায় টাইমস অব ইন্ডিয়া। এ সময় তিনি সোমবার আরো জোরালোভাবে তার বক্তব্য তুলে ধরেন। বলেন, আলওয়ার ও ভরতপুর জেলায় যেসব সুপরিচিত নব্য মুসলিম আছেন তারা বিশেষ প্যাকেজ পেয়েছেন। তারা সেই প্যাকেজের অধীনে ‘লাভ জিহাদ’ চালিয়ে যাচ্ছেন। এর অধীনে মুসলিম যুবকরা হিন্দু মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করছেন। সিঙ্গাল বলেন, ওই এলাকায় নব্য মুসলিমদের (মিও মুসলিম) মধ্যে লাভ জিহাদ রীতিতে পরিণত হয়েছে। তারা ভুয়া আইডি তৈরি করে ফেসবুকে। এর মাধ্যমে হিন্দু মেয়েদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। তারা হিন্দু মেয়েদের বিয়ে করে তাদের জীবনকে নরক বানিয়ে ফেলছে। অন্যদিকে মুসলিম যুবতীরা অশিক্ষিত হওয়ায় তারা হিন্দু যুবকদের ভালবাসেও না, বিয়েও করে না। এ সময় তিনি মুসলিম যুবকদের এমন লাভ জিহাদের ফাঁদে পড়ার জন্য হিন্দু নারীদের তিরস্কার করেন।