পুরনো কথার জবাব দেয়ার দরকার নেই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন। আমরা যারা রাজনীতিবিদ তারা রাজনীতির মাঠে অনেক কথা বলি। মূল বিষয়টা আপনারাই (সাংবাদিকরা) বের করে নেন। সুতরাং বাংলাদেশের দুর্ভাগ্যের বিষয় মিডিয়াতে একটা প্রবণতা রয়েছে, মূল জায়গাতে না গিয়ে আমরা ওইসব জায়গা খুঁজে বেড়াই। দুপুরে নয়াপল্টনে দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে লিফলেট বিতরণ শেষে কয়েকদিন আগে দেয়া তার বক্তব্য ‘বড়রা দল ছাড়তে পারে, কিন্তু কর্মীরা কখনো দল ছাড়ে না’ সম্পর্কে জানতে চাইলে আজ নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
ফখরুল বলেন, এটাই সমস্যা, আজকের মূল বিষয়টা কী? দেশে গণতন্ত্র নেই। আমাদের অধিকার নেই।
গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য সরকার হীন প্রচেষ্টা করছে অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেছেন, ‘আমরা আন্দোলনের মধ্য দিয়েই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে সক্ষম হব, ইনশাআল্লাহ এবং এই অবৈধ সরকারের যে হীন প্রচেষ্টা ও নীলনকশা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার, তাকেও আমরা পরাস্ত করতে সক্ষম হব।’ ফখরুল বলেন, ‘প্রতিহিংসার কারণে সরকার একদলীয় শাসন পাকাপোক্ত করার জন্য বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের নেতা, যাকে মানুষ গণতন্ত্রের মাতা বলে শ্রদ্ধাভরে সম্বোধন করেছে সেই নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে এ অবৈধ সরকার অন্যায়ভাবে, বেআইনিভাবে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলা সাজিয়ে এবং বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে কারারুদ্ধ করেছে। তার মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী দলসহ ২০ দলীয় জোট ও গণতন্ত্রকামী মানুষ সংগ্রাম করছে নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণভাবে।’ বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার যে শপথ নিয়েছি, যে কর্মসূচি পালন করছি। তারই অংশ হিসেবে আজকে সারা দেশে এ লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি ছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিরোধী দলের মতকে স্তব্ধ করে দেয়ার ও সরকারের একদলীয় শাসন প্রবর্তন করার যে নীল নকশা তা রুখে দেয়ার জন্য এ লিফলেটের মাধ্যমে আমরা জনগণের কাছে আহ্বান জানিয়েছি। আমাদের এ লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি সারা দেশে শুরু হয়েছে। যা আগামী কয়েক দিন চলবে। তারপর আমাদের ঘোষিত অন্য কর্মসূচি পালন করা হবে।’ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ করবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলনে, ‘আজকে আমাদের সিনিয়র নেতাদের যৌথসভা আছে, সেখানে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’ খালেদা জিয়ার অসুস্থতার বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা বক্তব্য দিয়েছি। জাতি জেনেছে কী হচ্ছে। এ বিষয়ে মিডিয়ার আরও বেশি জানার দরকার।’ ‘নৌকায় ভোট চাওয়া রাজনৈতিক অধিকার’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক অধিকার সংবিধান ও নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন আরপিও মধ্যে সীমাবদ্ধ সব রাজনৈতিক দলের জন্য। কিন্তু বিষয়টা তো হচ্ছে তারা (আওয়ামী লীগ) সরকারি টাকা খরচ করে নৌকায় ভোট চেয়ে বেড়াচ্ছেন। আর কেউ করতে পারবে না, কাউকে কোনো সুযোগ দেয়া হবে না এটা কখনও মেনে নেয়া যেতে পারে না।’