সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান যুক্তরাষ্ট্র সফরে ইসরায়েলপন্থী কয়েকটি কট্টর ইহুদিবাদী দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন । এদের মধ্যে ফিলিস্তিনে অবৈধ বসতি স্থাপনের প্রধান অর্থ যোগানদাতারাও রয়েছেন। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে ইহুদিবাদী নেতাদের সঙ্গে বেশ উৎফুল্ল অবস্থায় দেখা গেছে ক্রাউন প্রিন্সকে। প্রসঙ্গত, ইসরাইলকে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো স্বীকৃতি দেয়নি সৌদি আরব। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইহুদি নেতাদের সঙ্গে ক্রাউন প্রিন্সের বৈঠকে দু’দেশের মধ্যে উষ্ণ সম্পর্কের বিষয়টি বোঝা যায়। এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।

খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে মোহাম্মদ বিন সালমান কট্টর ইসরাইলপন্থী দল আমেরিকান ইসরাইল পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটি (আইপাক), স্ট্যান্ড আপ ফর ইসরায়েল (এডিএল) ও জিউয়িল ফেডারেশন ফর নর্থ আমেরিকার (জেএফএনএ) নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এই দলগুলো ফিলিস্তিনে অবৈধ বসতি স্থাপন করার জন্য ইসরাইলকে লাখ লাখ ডলার আর্থিক সহায়তা প্রদান করে থাকে। ২০১২ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত মাত্র তিন বছরে অবৈধ বসতি স্থাপনের জন্য ইসরাইলকে ৬০ লাখ ডলার অর্থ সহায়তা দিয়েছিল এসব দলগুলো। এরা ফিলিস্তিনে অবৈধ বসতি-বিরোধী সংগঠন ‘বয়কট, ডিভেস্টমেন্ট অ্যান্ড স্যাঙ্কশন (বিডিএস)’ এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইসরাইলকে উস্কে দেয়। আর বিডিএস অসহিংসভাবে ইসরাইলের ওপর অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগ করে ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। বিডিএসকে নিষিদ্ধ করার জন্য ইহুদিবাদী দলগুলো লাখ লাখ ডলার ব্যায় করেছে।

এদিকে, মোহাম্মদ বিন সালমান ও ইহুদি নেতাদের বৈঠকের ঘটনা দু’দেশের মধ্যে উষ্ণ সম্পর্ক থাকার প্রমাণ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহজুব জুবেইরি বলেন, ক্রাউন প্রিন্স সৌদি আরবকে নতুন রুপে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছেন। আর ওয়াশিংটনের প্রবেশপথ নিয়ন্ত্রণ করে আইপাকসহ অন্য ইহুদিবাদী দলের নেতারা। মোহাম্মদ বিন সালমান এই কৌশল নিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রকে তিনি বোঝাতে চান, ইসরাইল ও ফিলিস্তিনে মার্কিন প্রশাসনের নেয়া যে  কোন সিদ্ধান্তের প্রতি সৌদি আরবের সমর্থন রয়েছে।

Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031