ছাত্রলীগের পদধারী কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গান গাওয়াকে কেন্দ্র করে দলীয় কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় পুরাতন ফোকলোর চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।    মারধরকারীরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান লাবন, ইমরান খান নাহিদ ও আহমেদ সজীব। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের অনুসারী। অন্যদিকে মারধরের শিকার সোহেল, সজীব ও শাহরুখ হলেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাকিবুল হাসান বাকির অনুসারী। ভুক্তভোগী সোহেল বলেন, ‘আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে ইবলিশ মাঠে বসে গান গাইতে ছিলাম। হঠাৎ ‘কে এখানে গান গায় বলে আমার শার্টের কলার ধরে মারধর শুরু করে হাসান লাবন, ইমরান খান নাহিদ, আহমেদ সজীবসহ তাদের বন্ধুরা।

আমার বন্ধুরা আমাকে বাঁচাতে চাইলে তাদেরকেও মারধর করে। আমরা গান গাওয়ায় তাদের সমস্যা হচ্ছিলো বলে তারা আমাদের মারধর করে। কিন্তু তারা আমাদেরকে আগে থেকে সতর্ক না করেই মারধর শুরু করে। আমি বাকি ভাইয়ের ছোট ভাই বলায় আমাকে আরো বেশি মারধর করে। এ সময় তারা আমার পকেট থেকে একটি মোবাইল ও তিন হাজার টাকা নিয়ে যায়। তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন অভিযুক্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ সজীব ও হাসান লাবন। তারা বলেন, ‘মারধরের মতো কোন ঘটনা ঘটেনি, একটু বাকবিতণ্ডা হয়েছিল। অন্যদিকে ঘটনাস্থলে ছিলেন না ও ঘটনা সম্পর্কে জানেন না বলে জানান অভিযুক্ত ইমরান খান নাহিদ। এদিকে মারধরের বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাকিবুল হাসান বাকী বলেন, ‘গান বাজনার অজুহাতে তারা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আমার ছোট ভাইদের মারধর করেছে। তারা আমার অনুসারী হওয়ায় প্রতিহিংসা বশত তাদেরকে মারধর করা হয়। বিষয়টি রাজশাহী মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি খায়রুজ্জামান লিটনকে জানানো হয়েছে। তার সিদ্ধান্তের উপর ভরসা করছি।’ জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, ‘জানতে পেরেছি সাংগঠনিক সম্পাদক লাবন, সজীব এরা বান্ধবীসহ দাঁড়িয়ে ছিল। সেখানে তাদের উদ্দেশ্য করে উত্ত্যক্তমূলক কিছু কথা বলায় তাদের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি। যারা অভিযোগ করেছে তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এমন ঘটনা প্রচার করছে বলে দাবি করেন তিনি।
Share Now
January 2025
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031