ব্ল্যাকমেইল করে মেয়েসহ ব্যবসায়ীর উলঙ্গ ভিডিও ধারণ করে চাঁদাবাজি এবং মারপিট করে আহত করার অভিযোগে মাইটিভি বগুড়া জেলা প্রতিনিধি লতিফুল করিমের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হয়েছে।
সোমবার রাতে আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় মামলাগুলো করেন। প্রত্যেক মামলায় করিমকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় ৮জনের নাম অপর দুই মামলায় পাঁচজনের উল্লেখ করা হয়েছে।
বগুড়া সদরের নারুলি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম শফিক জানান, বরফ ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান বুজরুকবাড়িয়া গ্রামের আফসার আলীর পুত্র। গত ২৪ মার্চ তার সাথে দেখা করার জন্য এক মেয়ে আসে। তিনি পূর্বপরিচিত এই মেয়েকে নিয়ে প্রতিবেশী বন্ধু এনামুলের বাড়িতে যান। সেখানে বসে কথা বলার এক মুহূর্তে করিমসহ তার সহযোগিরা সেখানে হামলা চালায়। তারা মান্নান এবং ওই মেয়েকে লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারপিট করে। এক পর্যায়ে দুইজনকে উলঙ্গ করে পাশাপাশি দাঁড় করিয়ে ছবি তোলে। অন্য একজন পুরো ঘটনাটি ভিডিও ক্যামেরা দিয়ে রেকর্ড করে রাখে।
এদিকে মারপিট করার পর শুরু হয় ব্ল্যাকমেইল করার পালা। প্রথমে ভিডিও ও ছবি প্রকাশ করার হুমকি দিয়ে ৫ লাখ চাঁদা দাবি করে করিম এবং তার সহযোগীরা। পরে তারা বাড়ির মালিক এনামুলকে লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারপিট করে। এক পর্যয়ে আব্দুল মান্নানের ছোট ভাই আব্দুল হান্নানকে মোবাইল করে ডেকে আনা হয়। এরপর বড় ভাইয়ের মতো তাকেও ব্যাপক মারপিট করা হয়।
সদর থানার ওসি এমদাদ হোসেন মামলার কথা স্বীকার করে বলেন, পুলিশি তদন্তে ঘটনার সত্যতা মিলেছে। এখন আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এ বিষয়ে লতিফুল করিমের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন ধরেননি।