বিবিসি জানিয়েছিল ভূমধ্যসাগরে ডুবে যাওয়া শরণার্থীদের বেশিরভাগই সোমালিয়ার নাগরিক। তাদের সংখ্যা ২ থেকে ৩শ হবে বলে ধারণা করছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। অবৈধপথে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপ পৌঁছানোর চেষ্টার সময় সোমবার মধ্যরাতে মিশরীয় উপকূলে নৌকাটি ডুবে যায়। এর আগে ওই দুর্ঘটনায় ৫ শতাধিক শরণার্থী প্রাণ হারিয়েছে বলে ।
সোমালিয়ার তথ্যমন্ত্রী মোহামেদ আবদি হায়ির টেলিফোনে সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন,‘ওই দুর্ঘটনায় আমাদের দেশের ঠিক কতজন প্রাণ হারিয়েছে তার সঠিক হিসাব জানা নাই। কেননা তারা অবৈধভাবে দেশ ছাড়ছিল। তবে আমাদের অনুমান, সাগরে ডুবে যাওয়াদের ২ থেকে ৩শ জনই সোমালিয়ার নাগরিক।’ ওই নৌকায় প্রায় ৫শ যাত্রী ছিল বলেও তিনি জানিয়েছেন। নৌকার অধিকাংশ যাত্রীই মারা গেছে। মাত্র ৪১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
এদিকে সোমাবার রাতে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বার্তায়, দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারবর্গের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সোমালিয়ার প্রেসিডিন্ট হাসান শেখ মোহামুদ। তিনি অবৈধপথে ইউরোপ যাত্রা বন্ধে দেশের সকল নাগরিকের সহায়তা কামনা করেছেন। সোমালিয়ায় গত দুই দশক ধরে চলা গৃহযুদ্ধের কারণে দেশটির লোকজন ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নিতে মরিয়া। এজন্য তারা জীবন বাজি রেখে সাগর পাড়ি দিতেও দ্বিধা করে না।
এর আগে বিবিসি জানিয়েছে, সোমবার মধ্যরাতে ভূমধ্যসাগরের মিশর উপকূলে শরণার্থীদের একটি নৌকা ডুবে ৫ শতাধিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। দুর্ঘটনার পর গ্রিসের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কালামাতা থেকে ৪১ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা ইথিওপিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও মিশরের বাসিন্দা। তারা ভূমধ্যসাগর হয়ে ইটালিতে যাচ্ছিলেন। ডুবে যাওয়া নৌকার বেশির ভাগ যাত্রীই ছিলেন পূর্ব আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের বাসিন্দা। শরণার্থীদের একটি নৌকা থেকে অন্যটিতে সরিয়ে নেয়ার সময় ওই দুর্ঘটনাটি ঘটে।