কফি ক্ষেত ভারতের কর্নাটকের পশ্চিমঘাট পর্বতমালার গায়ে বসন্ত ভাটের । ক্ষেতের ফলন কেমন হচ্ছে, কোথাও পোকা ধরেছে কিনা তা সহজে জানতে ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করেন এই ৩৪ বছরের এই আধুনিক শিক্ষিত কৃষক।পাশাপাশি ক্ষেতে কীটনাশক ছড়ানোর জন্যও ড্রোন ব্যবহার করেন তিনি।
শুধু বসন্ত ভাট নন, সম্পন্ন কৃষকরা অনেকেই ক্ষেতের কাজে শ্রমিকের বদলে ড্রোন ব্যবহার করছেন। এর ফলে কাজও অনেক দ্রুত হচ্ছে এবং ঠিক যেটুকু জায়গায় সেইটুকু জায়গাতেই কীটনাশক ব্যবহার করা যাচ্ছে। ফলে কমছে রাসায়নিকের ব্যবহার।
চাষের কাজ ছাড়াও বিজ্ঞাপনের ছবি তৈরি, বিলাসবহুল বিয়ের ছবি তোলা, জঙ্গলে চোরাশিকারীর হদিস দেয়া, রেললাইনের ম্যাপিং এবং নিরাপত্তা বাহিনীর নজরদারির কাজেও ব্যবহৃত হচ্ছে ড্রোন। ড্রোনের উপযোগিতা ও ব্যবহার এভাবে বেড়ে যাওয়ায় চাহিদা বাড়ছে ড্রোন পাইলটদেরও।
ড্রোন ওড়ানোর কাজের মজাও এই পেশায় টেনে আনছে অনেককে। অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করার পর তাই ড্রোন ওড়ানোকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন ২৫ বছরের ঔচিত্য বশিষ্ঠ। চার বছর এই পেশায় থাকার পরও রোজই তিনি নতুন কিছু শেখেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু ড্রোন পাইলট হওয়া কি খুব কঠিন?
ড্রোন ঠিক কোন কাজে ব্যবহার করা হবে, তার ওপর নির্ভর করে কী ধরনের শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন। ড্রোন নিয়ে বিজ্ঞাপনের ছবি তুলতে গেলে এক ধরনের যোগ্যতা লাগবে কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাপ্লিকেশনের জন্য বিশেষ প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। মেশিনপত্রের ওপর জ্ঞান থাকাটা বাঞ্ছনীয়। বেঙ্গালুরুর স্কাইলার্ক ড্রোনের শোভিত জৈন জানাচ্ছেন যে আগামী কয়েক বছরে ড্রোন পাইলটের সংখ্যাটা কয়েক গুণ বাড়বে।
ভারতে অবশ্য এখনও ড্রোন ওড়ানো নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট আইন নেই। স্থানীয় প্রশাসন এবং ডিরেক্টোরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশনের অনুমতি ছাড়া ভারতে ড্রোন ওড়ানো বেআইনি। তার জন্য অবশ্য ড্রোন ওড়ানোর শেখানোর স্কুলের অভাব নেই। প্রাক্তন নেভি কর্মকর্তা এবং ড্রোন পাইলট জন লিভিংস্টোন পরিচালিত ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ড্রোনস পাঁচ জায়গায় অফিস খুলেছে।
সূত্র: এই সময়