সরকার ঘোষিত সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়েছেন কুয়েতে বসবাসকারী প্রতি তিনজন অবৈধ অভিবাসীর মধ্যে একজন । এর মোট সংখ্যা প্রায় ৪৭ হাজার। এরা হয়তো সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়ে বৈধ হয়েছেন না হয় কুয়েত ছেড়ে চলে গেছেন। কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মতে, ২০১৮ সালের ২৯ শে জানুয়ারি শুরু হয় সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ। চলবে ২২ শে এপ্রিল পর্যন্ত। তবে কোন দেশের কত সংখ্যক মানুষ এর আওতায় এসেছেন তা প্রকাশ করা হয় নি।
তবে কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করে বলেছে, আবাসিক নিয়ম লঙ্ঘনকারীর সব চেয়ে বেশি মানুষের তালিকায় রয়েছে পাঁচটি দেশ। এ দেশগুলো হলো পর্যায়ক্রমে ভারত, ফিলিপাইন, মিশর, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ। রোববার ফিলিপাইনের দূতাবাস নিশ্চিত করে বলেছে, সাধারণ ক্ষমার আওতায় প্রায় ৪ হাজার ফিলিপিনো নাগরিক কুয়েত ছেড়ে গেছেন। প্রায় ৬ হাজার ফিলিপিনো নাগরিক কুয়েতে অবৈধ উপায়ে বসবাস করতেন । কুয়েতে নিয়োজিত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত রেনাটো ভিলা বলেন, আমরা ফিলিপাইনের অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি আহ্বান জানাই দেশে ফিরে যেতে। সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিতে। গত কয়েক দিনে খুবই কম সংখ্যক ফিলিপিনো এর আওতায় আবেদন করেছেন। সাধারণ ক্ষমার আবেদন গ্রহণের জন্য আগামী ১২ই এপ্রিল পর্যন্ত ডেডলাইন নির্ধারণ করেছে ফিলিপাইন দূতাবাস। ওদিকে কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হুঁশিয়ারি দিয়েছে। বলেছে, সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেই শুরু হবে দমনপীড়ন। এর পরে যাদেরকে ধরা হবে তাদেরকে দেশে ফেরত পাঠানো হবে। কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আবাসিক ডিপার্টমেন্টের পরিচালক বলেছেন, ২২ শে মার্চ পর্যন্ত সাধারণ ক্ষমার সুিেযাগ নিয়েছেন মোট ৪৬ হাজার ৭৩৭ জন। এর মধ্যে জরিমানা ছাড়াই যার যার দেশে ফিরে গেছেন ৩০ হাজার ৫২ জন। বাকিরা তাদের বৈধতা অর্জন করেছেন। যারা সাধারণ ক্ষমার সুযোগ নিয়েছেন তারা পরে আবার কুয়েত যেতে পারবেন। আগামী ২২ শে এপ্রিল পর্যন্ত থাকবে এই সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ। উল্লেখ্য, বিদেশী শ্রমিক কমিয়ে আনার জন্য কাজ করছে কুয়েত। এর মধ্যে রয়েছে বৈধ বা অবৈধ দু’ধরনের অভিবাসীই।